ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
Published: 14th, June 2025 GMT
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘‘ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে৷ অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছেন না৷ ভাই, আপনাদের কেন এই জ্বালা। আপনাদের উদ্দেশ্য কী।’’
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘‘আপনারা বলেন তো, রমজান মাসে কি নির্বাচনী প্রচারণা করা যায়? এপ্রিলে নির্বাচন হলে কখন প্রচারণা চালাবেন, কখন আইনি প্রক্রিয়া হবে, কখন নমিনেশন পেপার জমা নেবে। এমন সময় নির্বাচন দরকার, যখন অন্য কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকবে না, সেটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করি আমরা। তাহলে যদি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হয়, সেটা তো ভালো। ওই সময়ে আবহাওয়া ভালো, ঈদ নেই, পয়লা বৈশাখ নেই। ওই সময় যদি নির্বাচন হয়, তাহলে উপযুক্ত সময়, এপ্রিল উপযুক্ত সময় নয়। ওই সময় বৈশাখ মাস কালবৈশাখী হবে, তাণ্ডব চলবে।’’
আরো পড়ুন:
ইউনূস-তারেকের বৈঠকে দেশে স্বস্তি এসেছে: আসাদুজ্জামান
প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কিছু রাজনৈতিক বন্ধুরা বলেছেন, লন্ডনের বৈঠকে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হবে। ভাই, আপনাদের ইতিহাসটা বলুন তো দেখি। কখন নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করেননি। আপনারা ৭১ সালে বিরোধিতা করেছেন। ৮৬ সালে হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। আপনারা ৯৫ সালে হাসিনার সঙ্গে বিএনপির বিরোধিতা করেছেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিয়েছেন। তাহলে আপনাদের রাজনীতিটা কিসের।’’
রিজভী আরো বলেন, ‘‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বারবার বলেছেন, এই শেখ হাসিনা দুর্বৃত্ত। হাসিনা নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে। কথা বললে তার ঠিকানা হয়েছে আয়নাঘরে। আপনারা সেই আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিবেন। আপনাদের রাজনীতি ভুলে ভরা।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আপন দ র কর ছ ন আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। একই সঙ্গে যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব (নিযুক্ত) দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং (দরপত্র আহ্বান) নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আরও পড়ুননতুন ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা শুরু০৭ জুলাই ২০২৫নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন রিটটি করেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
আগের ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। ধার্য তারিখে আদালত আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালত আদেশ দেন। আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হলো।
আদেশের সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী কায়সার কামাল ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ দায়িত্ব নেয় জাহাজ মেরামতের এ প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো বন্দরে টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হলো চিটাগং ড্রাইডক।
চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের সিংহভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।