বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘‘ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে৷ অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছেন না৷ ভাই, আপনাদের কেন এই জ্বালা। আপনাদের উদ্দেশ্য কী।’’

শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘‘আপনারা বলেন তো, রমজান মাসে কি নির্বাচনী প্রচারণা করা যায়? এপ্রিলে নির্বাচন হলে কখন প্রচারণা চালাবেন, কখন আইনি প্রক্রিয়া হবে, কখন নমিনেশন পেপার জমা নেবে। এমন সময় নির্বাচন দরকার, যখন অন্য কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকবে না, সেটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করি আমরা। তাহলে যদি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হয়, সেটা তো ভালো। ওই সময়ে আবহাওয়া ভালো, ঈদ নেই, পয়লা বৈশাখ নেই। ওই সময় যদি নির্বাচন হয়, তাহলে উপযুক্ত সময়, এপ্রিল উপযুক্ত সময় নয়। ওই সময় বৈশাখ মাস কালবৈশাখী হবে, তাণ্ডব চলবে।’’

আরো পড়ুন:

ইউনূস-তারেকের বৈঠকে দেশে স্বস্তি এসেছে: আসাদুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কিছু রাজনৈতিক বন্ধুরা বলেছেন, লন্ডনের বৈঠকে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হবে। ভাই, আপনাদের ইতিহাসটা বলুন তো দেখি। কখন নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করেননি। আপনারা ৭১ সালে বিরোধিতা করেছেন। ৮৬ সালে হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। আপনারা ৯৫ সালে হাসিনার সঙ্গে বিএনপির বিরোধিতা করেছেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিয়েছেন। তাহলে আপনাদের রাজনীতিটা কিসের।’’

রিজভী আরো বলেন, ‘‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বারবার বলেছেন, এই শেখ হাসিনা দুর্বৃত্ত। হাসিনা নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে। কথা বললে তার ঠিকানা হয়েছে আয়নাঘরে। আপনারা সেই আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিবেন। আপনাদের রাজনীতি ভুলে ভরা।’’

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আপন দ র কর ছ ন আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ