গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু মারা গেছেন
Published: 15th, June 2025 GMT
গণফোরামের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা মোহসীন মন্টু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা মোহসীনের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি চার মেয়ে, এক ছেলে, নাতিনাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বাদ এশা রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন সোমবার সকাল ৯টায় কেরানীগঞ্জের কালিন্দী খেলার মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।
গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রওশন ইয়াজদানী প্রথম আলোকে বলেন, মোস্তফা মোহসীন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আজ বিকেলে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, ‘মোস্তফা মোহসীন মন্টু ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন সম্মুখসারির বীর সেনানী। মুক্তিযুদ্ধকালে ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে তিনি অসামান্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সাহসিকতা ও সংগঠক হিসেবে ভূমিকা আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে। তাঁর এই অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
মোস্তফা মোহসীন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি ড.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণফ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?