মিনেসোটায় আইনপ্রণেতা ও তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা, সন্দেহভাজন আটক
Published: 16th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় এক জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা ও তার স্বামী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। নিহতরা হলেন- অঙ্গরাজ্যটির আইনসভার নারী সদস্য মেলিসা হোর্টম্যান ও তার স্বামী মার্ক। হোর্টম্যান মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য আইনসভার সাবেক স্পিকার।
এ ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তার নাম ভ্যান্স লুথার বোয়েলটার। আটক ব্যক্তির একটি ছবি প্রকাশ করেছে র্যামসে কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়। এ সময় তার পরনে পুলিশের পোশাকের মতো বেশভূষা দেখা গেছে। তবে বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানানো হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শেরিফ কার্যালয় বলেছে, খুনি এখন পুলিশের হেফাজতে। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা একাধিক আইনশৃঙ্খলা সংস্থাকে ধন্যবাদ। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়াল্টজ বলেন, বন্দুকধারীরা অঙ্গরাজ্যটির আরও একজন আইনপ্রণেতা ও তার স্ত্রীকে আহত করেছে। তারা হলেন- সিনেটর জন হফম্যান ও তার স্ত্রী চ্যামপ্লিন। হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের জরুরি অস্ত্রোপচার চলছে। আশাকরি, তারা বেঁচে যাবেন। শনিবারের এই হামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড’ বলে মনে মন্তব্য করেছে ওয়াল্টজ।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী পুলিশ কর্মকর্তাদের পোশাক পরা ছিল এবং হোর্টম্যানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় সে একটি গাড়ি ফেলে রেখে যায়। পুলিশ গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ‘ইশতেহার’ পেয়েছে, তাতে আরও অনেক আইনপ্রণেতা ও কমকর্তাদের তালিকা ছিল।
এদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। এ বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, মিনেসোটায় ভয়ানক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এটিকে অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত হামলা বলে মনে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এমন সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। খোদা মিনেসোটার মহান জনগণের সহায় হোন, একটি সত্যিকারের মহান জায়গা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র আটক
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’