ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না: জি-৭
Published: 17th, June 2025 GMT
ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না বলে মত দিয়েছে ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭। কানাডায় চলমান ৫১তম সম্মেলন থেকে যৌথ বিবৃতিতে এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে সদস্য দেশগুলো। ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ রয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। খবর ইকোনমিক টাইমস।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা জোর দিয়ে বলছি, ইরানি সংকটের সমাধান হলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে কমে যাবে। যার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতিও অন্তর্ভুক্ত।
জি-৭ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই কানাডা ছেড়ে চলে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, সোমবার রাতের খাবারের পরেই প্রেসিডেন্ট সম্মেলন ছেড়ে দেশে ফিরেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণেই তিনি ফিরে এসেছেন বলে জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।
সোমবার বিশ্বনেতাদের সাথে ফটো সেশনের সময় ট্রাম্প জানান, বড় কিছুর জন্য ওয়াশিংটনে ফিরে যাওয়া জরুরি।
তেহরানের পক্ষ থেকে কাতার, সৌদি আরব ও ওমানকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। যাতে তিনি ইসরায়েলের ওপর তার প্রভাব খাটিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে উদ্যোগী হন। বিনিময়ে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা আলোচনায় নমনীয়তা দেখাবে। দুজন ইরানি এবং ওই অঞ্চলের তিনটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে এসব কথা জানায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’