Prothomalo:
2025-11-04@01:11:26 GMT

কিছু পাখি কেন উড়তে পারে না

Published: 17th, June 2025 GMT

পাখি বললেই আমাদের কল্পনায় সুন্দর ডানার উড়ন্ত প্রাণীর কথা মনে হয়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক প্রজাতির পাখি রয়েছে, যারা উড়তে পারে না। অনেক পাখি আবার বিবর্তনের ধারায় ওড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। এসব পাখি স্থল বা জলজ পরিবেশে বিশেষভাবে অভিযোজিত হয়েছে। বর্তমানে ৬০টির বেশি প্রজাতির ডানাবিহীন পাখি পৃথিবীতে টিকে আছে, যার মধ্যে উটপাখি, এমু, কিউই, পেঙ্গুইন অন্যতম।

পাখির ওড়ার ক্ষমতা না থাকার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব পাখি এমন এলাকা বা দ্বীপে বসবাস করত, যেখানে কোনো স্থলজ শিকারি ছিল না। উড়ে উড়ে শিকারির হাত থেকে পালানোর প্রয়োজন কম ছিল বলে ওড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তারা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ওড়ার জন্য পাখির প্রচুর শক্তি খরচ হয়। এ জন্য ডানার পেশি ও হাড়ের বিশেষ গঠন প্রয়োজন হয়। ওড়ার প্রয়োজন ছিল না বলে এসব পাখির ডানা ও হাড়ের পরিবর্তন কম হয়েছে। ওড়ার বদলে এসব পাখি সেই শক্তি দ্রুত দৌড়ানো বা সাঁতার কাটার জন্য ব্যয় করেছে। ধীরে ধীরে এসব পাখির ডানা ছোট হয়ে যায়। ওড়ার ক্ষমতা লোপ পায়। আবার কিছু পাখি জলজ জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হওয়ার কারণে ওড়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। পেঙ্গুইনরা তাদের ডানা ব্যবহার করে আকাশে ওড়ার পরিবর্তে জলের নিচে সাঁতার কাটার জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতা তৈরি করেছে। এদের ডানা ফ্লিপার হিসেবে কাজ করে। স্টিমার ডাক প্রজাতির কিছু পাখি উড়তে পারে না। এরা ডানা পানির ওপর দিয়ে দ্রুত দৌড়ানোর জন্য অভিযোজিত হয়েছে।

যেহেতু এসব পাখি উড়তে পারে না, তাই স্থলভাগে দ্রুত চলাচলের জন্য তাদের পা হয় খুব শক্তিশালী। উটপাখি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে দৌড়াতে পারে। এ ছাড়া উড়ন্ত পাখিদের বুকের হাড়ে ‘কিল’ নামের বিশেষ একটি হাড় থাকে। এই অংশে ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিশালী পেশি সংযুক্ত থাকে, ডানাবিহীন পাখিদের এই অঙ্গ থাকে না।

উটপাখি আফ্রিকার উন্মুক্ত সাভানা ও মরুভূমিতে দেখা যায়। এরা বিশ্বের বৃহত্তম ও দ্রুততম দৌড়বিদ পাখি হিসেবে আলোচিত। অস্ট্রেলিয়াতে এসব পাখি দেখা গেলেও ১৮শ শতকের আগে দেখা যায়নি। এমু অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন পরিবেশে দেখা যায়। উটপাখির পর এমু দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি।

কাসোয়ারি নামের আরেকটি বড় পাখি পাপুয়া নিউগিনি, উত্তর অস্ট্রেলিয়া ও আশপাশের দ্বীপপুঞ্জের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনে দেখা যায়। এদের ছুরির মতো দেখতে নখ থাকে। এর শক্তিশালী পায়ের জন্য পরিচিত। আরেকটি আলোচিত পাখি কিউই। এটি নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় পাখি। ছোট, নিশাচর ও লম্বা ঠোঁটের ডগায় নাসারন্ধ্র থাকে এদের। আর বিখ্যাত কোটপরা পাখি পেঙ্গুইন। ১৮ প্রজাতির পেঙ্গুইন রয়েছে। এরা সবাই ডানাবিহীন। এদের বেশির ভাগই অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ গোলার্ধের ঠান্ডা অঞ্চলে বাস করে। গ্যালাপাগোস পেঙ্গুইনের মতো কিছু প্রজাতি বিষুবরেখার কাছাকাছি দেখা যায়। এরা সাঁতারে অত্যন্ত দক্ষ।

অতীতে মানুষের কারণে ও শিকারি প্রাণীর কারণে ডানাবিহীন অনেক পাখির প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ডোডো ও মোয়া পাখি এদের মধ্যে অন্যতম।

সূত্র: ব্রিটানিকা

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ঙ গ ইন এসব প খ র ক ষমত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

‘মাস্তান’কে ছাড়া রিয়ালের অ্যানফিল্ড–অভিযান এবং সালাহর রেকর্ডের হাতছানি

অ্যানফিল্ডে যাওয়ার ঠিক আগে হঠাৎ দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ। লিভারপুলের বিপক্ষে আজ রাতে খেলতে পারবেন না ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো। দলের মেডিকেল বিভাগ জানিয়েছে, আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার ভুগছেন ‘স্পোর্টস হার্নিয়া’-তে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা লিখেছে, মাস্তানতুয়োনো কবে ফিরতে পারবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আজকের ম্যাচে তাঁর না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত।

গতকাল অনুশীলনেও ছিলেন না মাস্তানতুয়োনো। সাধারণত প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে রিয়াল। কিন্তু এবার কোচ জাবি আলোনসো একটু ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন। অ্যানফিল্ডে সাংবাদিকদের সামনে কৌশল প্রকাশ না করে তিনি শেষ অনুশীলন সেরেছেন ক্লাবের নিজস্ব মাঠ ভালদেবাসে। মার্কার বিশ্লেষণ, প্রতিপক্ষ যেন শেষ মুহূর্তে কিছু বুঝে না ফেলে, সে জন্যই আলোনসোর এ সিদ্ধান্ত।
রিয়ালের বর্তমান ফর্ম অবশ্য কোনোভাবেই লুকানো যাচ্ছে না। লা লিগায় গত পরশু রাতে ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে এটি তাদের ১৩তম জয়। একমাত্র হারের স্বাদ লিগে। ১২৬ বছরের ইতিহাসে রিয়ালের এর চেয়ে ভালো সূচনা হয়েছে মাত্র দুবার, সর্বশেষ ১৯৬১-৬২ মৌসুমে।

লিভারপুলের অনুশীলনে ভার্জিল ফন ডাইক ও মোহাম্মদ সালাহ

সম্পর্কিত নিবন্ধ