বন্ধুকে খুঁজতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী
Published: 17th, June 2025 GMT
কুমিল্লার লাকসামে ছেলে বন্ধুকে খুঁজতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার পর লাকসাম থানা-পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী তরুণী জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লাকসাম উপজেলায় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- লাকসাম উপজেলার বড়তোপা গ্রামের মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনে রিফাত নামের এক যুবকের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর পরিচয় হয়। গত ৮ জুন ওই তরুণী রিফাতকে খুঁজতে লাকসাম বাজারে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে এনায়েতুর রহমান সাক্কু নামে এক অটোরিকশাচালকের পরিচয় হয়। সাক্কু ওই তরুণীকে নিয়ে লাকসাম শহরে খোঁজাখুঁজি করেও রিফাতকে না পেয়ে রাত ১০টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের সিঁড়িতে গিয়ে বসেন। এ সময় রেল স্টেশনে আসামিরা উত্ত্যক্ত করলে সাক্কু ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দেন। পরে আসামিরা তাদের ৯ জুন ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত রেল স্টেশনে বসিয়ে রাখে। পরে সাক্কু আসামিদের সঙ্গে মিলে তরুণীকে রেলওয়ে স্টেশনের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণ করে।
রাতে লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দিকে আজ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আদাবরে কুপিয়ে হত্যা: তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিল সেনাবাহিনী
রাজধানীর আদাবরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে রিপন সরদার (৪২) খুনের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিপন হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইমন ওরফে ভাইগ্না ইমন ওরফে দাঁতভাঙা ইমনকে তাঁর দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, গতকাল ভোরের দিকে রাজধানীর আদাবর থানার বালুর মাঠ এলাকায় বাসায় ঢুকে রিপন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিশোর গ্যাং এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। পরে আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।
৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গতকাল সকালে বালুমাঠ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় এলেক্স সবুজ, মনির ও ইমন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে অভিযান চালিয়ে ইমন ও তাঁর দুই সহযোগীকে দুটি সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানোর কিছুক্ষণ আগে সবুজ ও মনির সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যান। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। বাকিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে আদাবরের ১০ নম্বরের বালুর মাঠ এলাকায় ‘বেলচা মনির’ ও ‘রাজু গ্রুপে’র মধ্যে এ মারামারি হয়। ‘বেলচা মনিরের’ লোকজন ‘রাজু গ্রুপের’ রিপনকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের মৃত্যু হয়।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুনআদাবরে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মারামারিতে নিহত ১১৮ ঘণ্টা আগেতবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের ছেলে ইমন সরদার গতকাল দাবি করেন, রিপন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না। রিপন পেশায় চা–দোকানি। বেলচা মনিরের লোকজনের সঙ্গে দুই দিন আগে তাঁর বাবার কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে তাঁর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা আরজু বেগমও আহত হয়েছেন। তাঁদের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
পুলিশের ভাষ্য, নিহত রিপন সরদার মাদক কারবারি রাজুর চাচাতো ভাই। ‘রাজু গ্রুপ’ ও ‘বেলচা মনিরের’ নেতৃত্বে আদাবরের ১০ ও ১৭ নম্বর এলাকায় মাদক ব্যবসা হয়। ওই বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। নিহত রিপনের বিরুদ্ধে ভোলায় একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।