নানা আয়োজনে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৫ সালের গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আফতাবনগরে এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এই সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রায় ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে বরণ করা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে নবীনদের বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মাবলি, একাডেমিক কাঠামো, আচরণবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ নিজ বিষয় উপযোগী করে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী।  

আরও উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারপারসন, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।  

অনুষ্ঠানে বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উৎকর্ষতার এই সময়কে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে যে কোনো সংকটে দেশ ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।  

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার’ কর্তৃক আয়োজিত আকর্ষণীয় ‘ক্লাব ফেয়ার’। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ২২টি ক্লাব তাদের স্টল স্থাপন করে নিজেদের কার্যক্রম নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরে এবং তাদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হতে উৎসাহিত করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ