নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জাতীয় উচ্চমাধ্যমিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসটিই) বিভাগের ল্যাবে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও প্রতিযোগীদের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটিবিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতার সমাপনী ও সনদ প্রদান বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‎‘তরুণদের মাধ্যমে আইসিটিতে বাংলাদেশ ভালো অবস্থান তৈরি করবে’

৯০ দশকের স্মৃতি জাগরণে বাকৃবি টিম উৎসবের ব্যতিক্রমী আয়োজন

সিএসটিই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.

নাহিদ আক্তারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আসাদুন নবী, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মো. আবু নাছের।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন নোবিপ্রবি সাইবার সেন্টারের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ইফতেখার মাহমুদ তওহীদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন যে ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা রোবটিক্স বলি,তাতে আইসিটির গুরুত্ব রয়েছে। আইসিটিকে বাদ দিয়ে আমাদের শিক্ষা-গবেষণা বা আমাদের দৈনন্দিন কাজে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব না। কাজেই আইসিটি মন্ত্রণালয় যে উদ্যোগ নিয়েছে নিঃসন্দেহে এটি পরবর্তী প্রজন্মকে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার উপযুক্ত করে গড়ে তুলবে।”

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আইসিটি ও প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।

জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, আইসিটি কুইজ ও দাবা বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ আইস ট

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।

শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’

কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ