এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বর
Published: 18th, June 2025 GMT
দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এদিন এফবিসিসিআইয়ের ২০২৫-২০২৬ ও ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি ও পরিচালক নির্বাচিত হবে। এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল বুধবার প্রকাশ করেছে এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ড। সংগঠনের মহাসচিব মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এবং সর্বশেষ প্রণীত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ২০২৫ অনুসরণ করে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিধিমালায় পরিচালনা পর্ষদের আকার ৮০ থেকে কমিয়ে ৪৬ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি, দু’জন সহ-সভাপতি থাকবেন।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে সদস্যভুক্ত সকল চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের জন্য মনোনীত প্রতিনিধিদের তালিকা পাঠাতে হবে। ১৮ জুলাই পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ জুলাই।
সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি ও পরিচালক পদের জন্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ আগস্ট। তথ্য যাচাই, বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে ১৪ আগস্ট নির্বাচন বোর্ড এসব পদের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।
কোনো প্রার্থী নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাইলে ১৬ আগস্ট দুপুর ২টার মধ্যে তাঁকে এ বিষয়ে নির্বাচন বোর্ডকে অবহিত করতে হবে। ওইদিনই পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন বোর্ড।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার গণসংযোগ, রবিবার থেকে কঠোর কর্মসূচি
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সচিবালয়ে ৪ নম্বর ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। দাবি মেনে নেওয়া না হলে, রবিবার (২২ জুন) থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও এক উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ওই ভবনে গণসংযোগ কর্মসূচি করা হবে। আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী রবিবার আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
আরো পড়ুন:
সচিবালয়ে আন্দোলন
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন কর্মচারীরা
সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, চলবে মঙ্গলবারও
এর আগে, আজ সকাল সোয়া ১১টায় কর্মচারীরা সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনের বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় চত্বর প্রদক্ষিণ করেন। এরপর তারা ৬ নম্বর ভবনে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবরে স্মারকলিপি দেন।
শেষে ৬ নম্বর ভবনের লিফটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।”
তিনি বলেন, “কর্মচারীদের দাবি সম্বলিত পোস্টার লাগানো হয়েছিল। পোস্টার যারা ছিড়েছে সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করব। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার ব্যানার লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাটিয়ে দিতে হবে।”
নূরুল ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে চোরাবালিতে আটকে ফেলার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু আমলারা এই আইন তৈরি করেছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি। যদি আজকে দিনের মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে এমনও হতে পারে বিভাগীয় সম্মেলনের থেকেও কঠোর কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু আমাদের বন্দি করে আপনারা শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন এটা কি হতে পারে? আমরা হলাম বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশন। যদি ফাউন্ডেশনটাই উপড়ে ফেলেন তাহলে আপনারা কীভাবে কাজ করবেন?”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ নেতারা।
ঈদের ছুটির পর গত সোমবার (১৬ জুন) ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। সোমবার ও মঙ্গলবার তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে দুই দিনে চার উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটির বিরোধিতা করে এই অধ্যাদেশটিকে কালো আইন অবহিত করে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ