গল টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্তর ইনিংসে প্রশান্তি মিশে ছিল। নির্ভার থেকে, ঠান্ডা মাথায়, নিয়ন্ত্রিত ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১৫টি দারুণ চারের সঙ্গে ছিল এক ছক্কা। তবে আরও ভালো না হওয়ার আক্ষেপ আছে। দেড়শ’ রানে যেতে পারেননি তিনি। মুশফিক তার কাছে একটা ডাবল সেঞ্চুরি প্রত্যাশা করেছিলেন।
সেসব না হলেও আঙুলের ব্যথা নিয়ে দেড়শ’ ছোঁয়া রান করার জন্য বাহবা পেতে পারেন তিনি। জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতে, শান্ত নানাভাবে সমালোচিত হওয়ার পরও যেভাবে নির্ভার ব্যাটিং করেছে তা অন্যদের জন্য শিক্ষনীয়।
তিনি বলেন, ‘তার (শান্ত) আঙুল অনেক ফুঁলে ছিল। ব্যথা নিয়ে খেলেছে। শান্ত ভিন্ন চরিত্রের ক্রিকেটার। টাফ একটা ছেলে। তাকে নিয়ে কম ট্রল হয়নি, এতোকিছুর পরও মাথা ঠিক রেখে খেলেছে সে, সেটা অনকে পারে না। এটা দলের অন্যদের জন্য শিক্ষনীয়।’
শান্তর দেড়শ’ মিস করার চেয়েও বড় আক্ষেপ লিটন দাসের সেঞ্চুরি মিস করা। ইনিংসটা তবু বড় করতে পেরেছেন শান্ত। কিন্তু লিটনের নার্ভাস এইট্টি-নাইনটি যেন কাটছেই না। এ নিয়ে লাল বলে অষ্টমবারের মতো আশি-নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন তিনি।
কোচ সালাউদ্দিনের মতে, এটাও শান্তর জন্য শিক্ষার সুযোগ, ‘পুরো ইনিংস লিটন কন্ট্রোলের (নিয়ন্ত্রণ) সঙ্গে খেলেছে, মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছে। আমার মনে হয়, পুরো ইনিংসে ওই একটা শটই সে খারাপ খেলেছে। ক্রিকেটে এটা হতে পারে। এখান থেকে সে আরও শিখবে। আমার বিশ্বাস সামনে লিটন আরও বড় ইনিংস খেলবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল ট স ট ল টন দ স র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন নোবেল
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলা মনি।
নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন ও এসআই ইলা মনি প্রথম আলোকে জানান, ধর্ষণ মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আসামি নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বিয়ে করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২০ মে থেকে কারাগারে আছেন গায়ক নোবেল। সেদিন নোবেলের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি।
ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেল ওই নারীকে বিয়ে করেছেন, এমন কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কোনো একটি বাসায় ওই নারীর সঙ্গে নোবেলের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানোর একটি ঘটনা রয়েছে; কিন্তু বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি কাবিননামা নেই।’
ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, সাত বছর আগে (২০১৮) ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর ডেমরায় নোবেলের স্টুডিও দেখানোর জন্য ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটার দিকে তিনি (নারী) বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন নোবেল। পরে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করেন নোবেল। পরে ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়।
পুলিশ আদালতকে আরও জানিয়েছিল, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর (নারী) মা–বাবা ঢাকায় আসেন। পরে ওই নারীকে নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
আরও পড়ুনসেই নারীকে স্ত্রী বলে দাবি নোবেলের, আদালত বললেন কাবিননামা এনেছেন?২০ মে ২০২৫