সাতক্ষীরায় মো. মাহফুজার রহমান (৬১) নামে এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজারবাগান এলাকার মৃতু আজিজুর রহমানের ছেলে।

এ পর্যায়ে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রন্ত মো. মাহফুজার রহমানকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.

কুদরত ই খোদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মাহফুজার রহমান বুধবার সাতক্ষীরা মেডিকেলে ভর্তি হন। তার চিকিৎসা চলছে। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, “মাহফুজার রহমান শারীরিকভাবে অনেকটাই দুর্বল। তার ডায়াবেটিস, হার্ট ও কিডনির সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসা চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালে সাতক্ষীরায় সর্বশেষ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন কেউ আক্রান্ত হননি। তবে এই একটি-দুটি রোগী নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত করোনা পরীক্ষা চালু আছে। করোনা সংক্রমণের নতুন এ ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও সতর্ক হয়েছে।”

সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, “আমরা আবারও সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। মাস্ক ব্যবহার করুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখুন।”

তিনি আরও বলেন, “মেডিকেলে করোনা পরীক্ষা চলছে। উপসর্গ দেখা দিলে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”

ঢাকা/শাহীন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ