সাতক্ষীরায় ফের করোনা রোগী শনাক্ত, আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি
Published: 19th, June 2025 GMT
সাতক্ষীরায় মো. মাহফুজার রহমান (৬১) নামে এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজারবাগান এলাকার মৃতু আজিজুর রহমানের ছেলে।
এ পর্যায়ে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রন্ত মো. মাহফুজার রহমানকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.
তিনি জানান, মাহফুজার রহমান বুধবার সাতক্ষীরা মেডিকেলে ভর্তি হন। তার চিকিৎসা চলছে। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, “মাহফুজার রহমান শারীরিকভাবে অনেকটাই দুর্বল। তার ডায়াবেটিস, হার্ট ও কিডনির সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালে সাতক্ষীরায় সর্বশেষ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন কেউ আক্রান্ত হননি। তবে এই একটি-দুটি রোগী নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত করোনা পরীক্ষা চালু আছে। করোনা সংক্রমণের নতুন এ ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও সতর্ক হয়েছে।”
সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, “আমরা আবারও সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। মাস্ক ব্যবহার করুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখুন।”
তিনি আরও বলেন, “মেডিকেলে করোনা পরীক্ষা চলছে। উপসর্গ দেখা দিলে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”
ঢাকা/শাহীন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ার খানাবাড়ি এলাকায় আল আমিন (৪০) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ৯টার দিকে তাঁকে গলা কেটে রাস্তার ওপর ফেলে যায় তারা।
নিহত আল আমিনের বাড়ি দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা দিঘির পূর্বপাড় এলাকায়। তিনি ইজারা নিয়ে মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া খানাবাড়ি সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন আল আমিন। পথিমধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আল আমিনের মরদের পাশে মোটরসাইকেল পড়ে ছিল।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রাতেই খুলনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।