খাদ্যনালিতে মারবেল আটকে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। তার নাম আথনাজ। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ছবি রহমানের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আথনাজ ওই বাড়ির মো. বাবলুর মেয়ে।

শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গতকাল রাত আটটার দিকে হাতে মারবেল নিয়ে খেলা করার সময় সবার অগোচরে একটি মারবেল গিলে ফেলে শিশু আথনাজ। মারবেলটি খাদ্যনালিতে ঢুকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বিষয়টি তার মা এবং অন্যদের নজরে আসে। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে মারবেলটি বের করা সম্ভব হয়নি। পরে শিশুটিকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সন্দ্বীপের হারামিয়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত নয়টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়।

আথনাজের মামী রোকেয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ ছিল না, ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। আমরা বাড়ি থেকে টর্চলাইট নেওয়ার ব্যবস্থা করি। উপস্থিত ডাক্তার অনেকভাবে চেষ্টা করলেও মারবেলটি বের করতে পারেননি। যন্ত্রপাতি, এক্সরে কিছুই ছিল না সরকারি হাসপাতালটিতে। হাসপাতালে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া গেলে হয়তো আথনাজকে বাঁচানো যেত।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক অপু চক্রবর্তী জানান, ‘আমরা শিশুটিকে সিলিন্ডারের অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে গলায় আটকে যাওয়া বস্তু বের করে আনার জন্য যা যা করণীয় ছিল, চেষ্টা করেছি। কিন্তু গলার গভীরে আটকানো বস্তু বের করে আনার মতো যান্ত্রিক সুবিধা আমাদের নেই। তাই শিশুটিকে স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে এক্সরে করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে সুবিধা নেই।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স ম রব ল ব র কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশকে কামড় দিয়ে ঢাকার আদালত থেকে পালালেন খুনের আসামি

এক পুলিশ সদস্যকে কামড় দিয়ে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছেন হত্যা মামলার এক আসামি। শরীফুল ইসলাম নামের ওই আসামি ছয় বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাইন উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, খিলগাঁও থানায় করা একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন শরীফুল ইসলাম। মামলার শুনানির দিন ধার্য থাকায় তাঁকে কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে আনা হয়েছিল। দুপুরের দিকে আদালতে শুনানি শেষে তাঁকে যখন হাজতখানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন পুলিশ কনস্টেবল শহীদুল ইসলামের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মাইন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তদন্তে জানা যাবে, যে পুলিশ কনস্টেবল আসামিকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর কোনো অবহেলা ছিল কি না। আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি।’

পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা হয়েছিল। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ছয় বছর ধরে কারাগারে ছিলেন তিনি।

শরীফুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। গ্রামের নাম হরিপুর। তাঁর বাবার নাম শফিক আহমেদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ