সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে জমায় উল্লম্ফন
Published: 19th, June 2025 GMT
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ( প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে ) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ। এখনকার বিনিময় হার ধরলে যার পরিমাণ ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের কাছে সুইজারল্যান্ডের দায় ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমনাতকারীদের পাওনা এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগের অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা বাণিজ্য কেন্দ্রিক অর্থ বলে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বার্ষিক ব্যাংকিং পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অবৈধভাবে কেউ অর্থ নিয়ে গেছে এমন প্রমাণ সরবরাহ করলে তারা তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্য দেশের নামে অর্থ গচ্ছিত রাখে তাহলে তা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে থাকা পরিসংখ্যানের মধ্যে আসেনি। একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক দেশের নাগরিকই মূল্যবান সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর স খ য ন র পর ম ণ অর থ র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ ও এক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিনে ২০২৪-২৫ সেশনে দ্বিতীয় ব্যাচে ইভিনিং এমবিএ ও এক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইভিনিং ও এক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রামের বিস্তারিতইভিনিং এমবিএ ২০২৪-২৫ (২য় ব্যাচ):
১. যোগ্যতা: ৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি।
২. আসনসংখ্যা ৪৫।
৩. ক্লাসের সময়: ছুটির দিন সন্ধ্যায়।
৪. আবেদন ফি লাগবে: ১ হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা কেন ঝুঁকছেন বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর–উজবেকিস্তান–রাশিয়ার দিকে০২ আগস্ট ২০২৫এক্সিকিউটিভ এমবিএ ২০২৪-২৫ (২য় ব্যাচ) :
১. যোগ্যতা: তিন বা চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি, কমপক্ষে দুই বা তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা গ্র্যাজুয়েশনের পর।
২. আসনসংখ্যা ৩৫।
৩. ক্লাসের সময়: শুধু শুক্রবার।
৪. আবেদন ফি লাগবে: ২০০০ টাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ১. ইভিনিং এমবিএ: ৪ আগস্ট ২০২৫।
২. এক্সিকিউটিভ এমবিএ: ১৭ আগস্ট ২০২৫।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ১. ইভিনিং এমবিএ: ৪ আগস্ট ২০২৫।
২. এক্সিকিউটিভ এমবিএ: ১৯ আগস্ট ২০২৫।
ভর্তি পরীক্ষা হবে১. ইভিনিং এমবিএ: ৯ আগস্ট, সকাল ১০টা।
২.এক্সিকিউটিভ এমবিএ: ২২ আগস্ট, সকাল ১০টা।
# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট
আরও পড়ুনফিনল্যান্ড কীভাবে গড়েছে বিশ্বসেরা শিক্ষাব্যবস্থা, সাফল্যের ৬ কারণ৮ ঘণ্টা আগে