রেললাইনে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ তরুণের মৃত্যু
Published: 20th, June 2025 GMT
রেললাইনে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম কারখানা সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকার বাসিন্দা মো. আরাফাত (১৮), একই এলাকার মোহাম্মদ আনিস (১৮) ও মোহাম্মদ রিয়াজ (১৮)। দুর্ঘটনার পর তিন জনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, রেললাইনের ওপর বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিন তরুণ। ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করেননি। তবে কোন ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে হাড় ভাঙা ও নানা আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ আসার আগেই এখান থেকে স্বজনেরা তাড়াহুড়ো করে লাশ নিয়ে গেছেন।’
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত তিন তরুণ পেশায় গাড়ির হেলপার (সহকারী)। তারা রেললাইনের ওপর আড্ডা দিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করেননি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘ব্যর্থতা’ শোধরানোর অঙ্গীকার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কারকির
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি দুর্নীতি দমন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল শুক্রবার জনগণের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
তরুণদের (জেন–জি) নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের মুখে আগের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই পদে আসেন সুশীলা কারকি। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি ও অন্যান্য ব্যর্থতা থেকে সৃষ্ট হতাশার কারণেই এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দুই দিন ধরে চলা ব্যাপক বিক্ষোভে কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হন। আহত হন ২ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সরকারি–বেসরকারি সম্পত্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্ট ভবনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।
সংবিধান ঘোষণার দশম বার্ষিকী উপলক্ষে নেপালের জাতীয় দিবসে সুশীলা কারকি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই সত্য মেনে নিতে হবে যে সুশাসন ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক চেতনা ও লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার কারণেই এ বিক্ষোভ হয়েছে।’
গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের মধ্যে আলোচনার পর সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।