কুয়েতের বাইরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭ দিন আগে এক্সিট পারমিট আবেদন করতে হবে।

দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পয়লা জুলাই থেকে কুয়েতের বাইরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭ দিন আগে এক্সিট পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ ওই সিস্টেমে ডকুমেন্ট এর বৈধতা সীমিত সময়ের জন্য রাখা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো সময় ছুটির জন্য এক্সিট পারমিট চাইতে পারবেন।

আরো পড়ুন:

চায়নাওয়াক: টুওয়ার্ডস মডার্নাইজেশন–সিচাং ট্যুর উদ্বোধন

মিরপুরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন টি-টোয়েন্টি

কুয়েতে বেসরকারি খাতে নিয়োজিত বিদেশি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার আগে বহির্গমন পারমিট পেতে, কর্মীদের প্রথমে সাহেল আবেদনের মাধ্যমে একটি অনুরোধ করতে হবে (ব্যক্তিগত বিবরণ, ভ্রমণের তারিখ এবং পরিবহনের পদ্ধতিসহ)। তারপর তাদের নিয়োগকর্তাকে আস-হাল পোর্টালের মাধ্যমে অনুরোধটি অনুমোদন করতে হবে। অনুমোদিত হয়ে গেলে, কর্মচারীর সাহেল আবেদনে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্থান পারমিট পাওয়া যাবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা বৈধ কারণ ছাড়াই অনুরোধের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন বা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে ওই নিয়োগকর্তার অধীনস্থ কর্মী অভিযোগ দায়ের করার জন্য জনশক্তি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, কুয়েতে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। 

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতু থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন

যমুনা সেতুর ওপর থেকে রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ বৃহস্পতিবার নাট-বোল্টসহ যন্ত্রাংশ খোলার কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হয়েছে। এরপর থেকে সড়ক সেতু দিয়ে ট্রেন চলছে না। যমুনা সেতুর ওপর রেললাইনের প্রয়োজন নেই। এ কারণে সেতু বিভাগ ও রেল বিভাগের মাধ্যমে যৌথ পরিকল্পনায় সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে।

যমুনা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, রেললাইন খোলা শুরু হয়েছে। উপরিভাগে যানবাহনের জটলা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আগামীতে সেতুর দুটি লেন প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রেললাইন খুলে নেওয়া হলে সড়ক সেতুতে আরও প্রায় সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। এটা মূল সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযোগ করতে পারব। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে। এ ধরনের সেতু আন্তর্জাতিকভাবে ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত হয়। বর্তমানে যমুনা সেতুর প্রতি লেন ৬ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থ। এ কারণে দুর্ঘটনা বা যানজট হয়। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন প্রস্থ হবে প্রায় ৮ মিটার। এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। প্রশস্তকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল কো-অপারেশনের (সাসেক-২) পরিচালক ড. ওয়ালীউর রহমান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এবারের ঈদে সেতু দিয়ে এক দিনে ৬৫ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঈদের আগে-পরে বিপাকে পড়ে। সেতুর ওপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় এলেঙ্গা ও সিরাজগঞ্জসহ দুই পারে থেমে থেমে যানজট হয়। সেতুর উপরিভাগ প্রশস্ত করা হলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হয়। এর নকশায় রেলপথ ছিল না। পরে সেতুর ওপর উত্তর পাশে লোহার খাঁচা, বার ও অ্যাঙ্গেল যুক্ত করে রেললাইন বসানো হয়। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি তৈরি হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ