তুরস্কে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশটির পশ্চিম উপকূলজুড়ে গত কয়েকদিন ধরে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বিবিসি।
উদ্ধারকারীরা ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এদের বেশিরভাগই পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশের বাসিন্দা।
বিবিসি জানিয়েছে, দমকলকর্মীরা শত শত দাবানল নেভানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিলেসিক, হাতায়, সাকারিয়া এবং মানিসা প্রদেশের কিছু অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইউমাকলি সোমবার জানিয়েছিলেন, গত তিন দিনে জরুরি সহায়তা দলগুলো দেশব্যাপী ২৬৩টি দাবানল নিয়ন্ত্রণের কাজ করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কামাল মেমিসোগলু জানিয়েছেন, আগুনে হতাহত ৪৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই আদেশ দেন।
আরো পড়ুন:
কৃষক হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি জেলার কামারখন্দ উপজেলার পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আবু তালহার ছেলে। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন একই গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন সুরভীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ইসমাইল স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ২০২০ সালের ১৯ জুন সুমাইয়া খাতুন সুরভীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ইসমাইল হোসেন, তার বাবা আবু তালহা ও মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
ঢাকা/রাসেল/রাজীব