তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীর নাক ফাটালেন সহকারী শিক্ষক
Published: 2nd, July 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনায় সোয়াদ হোসেন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর নাক ফাটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
আহত শিক্ষার্থী কানাইয়েরচর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। তাকে আহত অবস্থায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন হাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় সোয়াদ। কিন্তু ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সাথে সাথে সোয়াদের গালে চড় দেন হাফিজুর রহমান। এ সময় নাকে লেগে জখম হয় সোয়াদ। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে সোয়াদকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে রক্ত বন্ধ না হলে পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোয়াদের বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘শিক্ষক মারধর করুক। সেটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। লেখাপড়ার জন্য যদি মারতো তবে আমার কোনো অভিযোগ থাকতো না। কিন্তু মারারও তো ধরণ আছে। এভাবে রক্তাক্ত জখম করবে আমি বাবা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।’’
কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘‘আমি ওই সময় অফিসে ছিলাম। ঘটনা জানতে পেরে ক্লাসে গিয়ে শুনি সোয়াদ বাড়ি চলে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’
অভিযুক্ত শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।’’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘ক্লাস চলাকালীন বারবার বাইরে যাচ্ছিল আর আসছিল। চড় মারতে গিয়ে বাচ্চাটার নাকে লেগে রক্ত বেরিয়েছে। এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’’
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’
শাহীন//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ফ জ র রহম ন সহক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পলাতক আ.লীগ নেতার মাকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
নোয়াখালীর কবিরহাটে বাড়িতে ঢুকে হোসনে আরা বেগম (৭০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর ছেলে মোহাম্মদ কামাল খান উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
মোহাম্মদ কামাল খান স্থানীয়ভাবে কামাল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের এই নেতা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে আত্মগোপনে। তাঁর ভাই মাইন উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর মা বসতঘরে একাই ছিলেন। তিনি স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে তাঁর মায়ের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনটি কোপ দেয়। পরে দুটি কান ছিঁড়ে শরীরে থাকা প্রায় চার ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরে বিছানার নিচে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুটে নেয়।
হোসনে আরাকে কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সামনের কক্ষে অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর নাতি সালমান। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়। মাইন উদ্দিনের অভিযোগ, এটি নিছক চুরির ঘটনা নয়, এটি দুর্ধর্ষ ডাকাতি।
কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই নারী শরীরে সব সময় স্বর্ণালংকার পরতেন। তাদের ধারণা, চুরি করতে আসা দুর্বৃত্তদের চিনে ফেলায় তাঁকে কোপানো হয়। পুলিশ এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।