‘রনিতকে লাথি মেরে গাড়ি থেকে বাইরে ফেলে দিই’
Published: 4th, July 2025 GMT
আমির খান অভিনীত বলিউড সিনেমা ‘লগান’। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে এটি। আশুতোষ গোয়াড়িকর নির্মিত সিনেমাটি আমির খানের অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা কাজও। এটি ২০০১ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
আমির খান প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘লগান’। ২০০০ সালে গুজরাটের ভুজে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়। একই বছর ‘কে.
কয়েক দিন আগে সাইরাস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অপূর্ব। এ আলাপচারিতায় এই পরিচালক জানান, ‘লগান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে রনিত রায়কে লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছিলেন। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তার বিস্তারিত জানিয়েছেন এই নির্মাতা।
আরো পড়ুন:
‘কিল বিল’ তারকা মাইকেল মারা গেছেন
একই দিনে ঢাকায় ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ ও ‘২৮ ইয়ারস লেটার’
‘লগান’ সিনেমা আমির খানের প্রথম প্রযোজনা। শুটিংয়ের সময়ে তিনি কিছু নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন; জোর দিয়েছিলেন শুটিং চালাকালীন কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলার। আর অপূর্ব ছিলেন এই দায়িত্বে। প্রথম নিয়ম ছিল— সময়ানুবর্তিতা।
অপূর্ব জানান, প্রথম নিয়মটি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, সবাইকে একটি বাসে করে শুটিং সেটে নিয়ে যাওয়া হবে। বাসটি কারো জন্য পাঁচ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করবে না। শুটিংয়ের তৃতীয় দিনে আমির খান আসতে দেরি করেন। ফলে আমির খানকে রেখেই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অপূর্ব।
অপূর্ব লাখিয়া বলেন, “রনিত রায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আমির খানকে ছাড়া তিনি দরজা বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানান। বাস বসে থাকা সবাই আমার দিকে তাকিয়েছিলেন যে, এখন আমি কী সিদ্ধান্ত নেই তা দেখার।”
পরের ঘটনা বর্ণনা্ করে অপূর্ব লাখিয়া বলেন, “আমি রনিত রায়কে লাথি মেরে গাড়ি থেকে বাইরে ফেলে দিই। তারপর বাসটি চালু করে সেখান থেকে রওনা দিই। পুরো ইউনিট এবং অভিনয়শিল্পীরা আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। আমার মনে আছে, যশপাল শর্মা বলেছিলেন, ‘ভাই, আপনি আগামীকাল বম্বে থাকবেন।’ আমি বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে যদি পরিস্থিতি এমন হয়, আমি চলে যাব, অন্তত মানুষ আমাকে মনে রাখবে।”
অন্য কোনো গাড়ি না থানায় সেদিন ৯০ মিনিট পরে সেটে পৌঁছেছিলেন আমির খান। এ তথ্য উল্লেখ করে অপূর্ব বলেন, “তিনি (আমির) আমাকে কিছু বলেননি। তিনি রাগও করেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন— ‘ভালো’।”
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন রন ত র য় আম র খ ন প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
পেরুর প্রেসিডেন্ট নিজের বেতন দ্বিগুণ করায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ
পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে নিজের মাসিক বেতন দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার ডলার (প্রায় ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা) করায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, এই অর্থ দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যয় করাই ছিল অধিক যুক্তিযুক্ত।
স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে পেরুর অর্থমন্ত্রী জানান, প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তের নতুন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৬৮ সোলেস (প্রায় ১০ হাজার ৬৭ ডলার), যা দেশটির ন্যূনতম মজুরির প্রায় ৩০ গুণ।
প্রেসিডেন্টের আগের বেতন ছিল ১৫ হাজার ৬০০ সোলেস (প্রায় ৪ হাজার ৪০০ ডলার), যা ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট অ্যালেন গার্সিয়া নির্ধারণ করেছিলেন। এর আগে প্রেসিডেন্টের বেতন ছিল ৪২ হাজার সোলেস।
সরকার বলেছে, লাতিন আমেরিকার ১২টি দেশের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তের আগের বেতন ছিল ১১তম স্থানে, যা শুধু বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি। রয়টার্স সরকারের এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে গত বছর রিও টাইমসের এক প্রতিবেদনে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের বেতন ৩ হাজার ডলার থেকে শুরু করে ২২ হাজার ডলার বলে উল্লেখ করা হয়।
এই সিদ্ধান্তকে ‘একেবারে রসিকতা’ বলে মন্তব্য করেন রাজধানী লিমায় একটি পত্রিকার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পেনশনভোগী বাসিন্দা রোলান্দো ফনসেকা। তিনি বলেন, ‘পেরুজুড়ে চরম দারিদ্র্য বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের উচিত সবার সামনে ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।’
বলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা বর্তমানে তলানিতে নেমে এসেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, তাঁর সমর্থন মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তাঁর পূর্বসূরি পেদ্রো কাস্তিয়ো কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বলুয়ার্তে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে শুরু করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হয়েছে। তবে ৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পেরুর দারিদ্র্যের হার এখনো প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি, যা করোনা মহামারির সময় বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও জীবনমানে পরিবর্তন আসেনি বলেই মনে করছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, পেরু ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছয়জন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে, যাঁদের মধ্যে তিনজনই এখন কারাগারে। প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুলাইয়ে। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।