আমির খান অভিনীত বলিউড সিনেমা ‘লগান’। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে এটি। আশুতোষ গোয়াড়িকর নির্মিত সিনেমাটি আমির খানের অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা কাজও। এটি ২০০১ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। 

আমির খান প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘লগান’। ২০০০ সালে গুজরাটের ভুজে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়। একই বছর ‘কে.

ডি. পাঠক’খ্যাত তারকা রনিত রায় একটি সিকিউরিটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেন। এ সিনেমার শুটিংয়ের সিকিউরিটির দায়িত্ব পান রনি। অন্যদিকে আশুতোষ গোয়াড়িকর তার সহাকারী পরিচালক হিসেবে নেন অপূর্ব লাখিয়াকে। কারণ হলিউড সিনেমায় তার কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। 

কয়েক দিন আগে সাইরাস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অপূর্ব। এ আলাপচারিতায় এই পরিচালক জানান, ‘লগান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে রনিত রায়কে লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছিলেন। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তার বিস্তারিত জানিয়েছেন এই নির্মাতা।  

আরো পড়ুন:

‘কিল বিল’ তারকা মাইকেল মারা গেছেন

একই দিনে ঢাকায় ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ ও ‘২৮ ইয়ারস লেটার’

‘লগান’ সিনেমা আমির খানের প্রথম প্রযোজনা। শুটিংয়ের সময়ে তিনি কিছু নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন; জোর দিয়েছিলেন শুটিং চালাকালীন কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলার। আর অপূর্ব ছিলেন এই দায়িত্বে। প্রথম নিয়ম ছিল— সময়ানুবর্তিতা। 

অপূর্ব জানান, প্রথম নিয়মটি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, সবাইকে একটি বাসে করে শুটিং সেটে নিয়ে যাওয়া হবে। বাসটি কারো জন্য পাঁচ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করবে না। শুটিংয়ের তৃতীয় দিনে আমির খান আসতে দেরি করেন। ফলে আমির খানকে রেখেই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অপূর্ব। 

অপূর্ব লাখিয়া বলেন, “রনিত রায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আমির খানকে ছাড়া তিনি দরজা বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানান। বাস বসে থাকা সবাই আমার দিকে তাকিয়েছিলেন যে, এখন আমি কী সিদ্ধান্ত নেই তা দেখার।” 

পরের ঘটনা বর্ণনা্ করে অপূর্ব লাখিয়া বলেন, “আমি রনিত রায়কে লাথি মেরে গাড়ি থেকে বাইরে ফেলে দিই। তারপর বাসটি চালু করে সেখান থেকে রওনা দিই। পুরো ইউনিট এবং অভিনয়শিল্পীরা আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। আমার মনে আছে, যশপাল শর্মা বলেছিলেন, ‘ভাই, আপনি আগামীকাল বম্বে থাকবেন।’ আমি বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে যদি পরিস্থিতি এমন হয়, আমি চলে যাব, অন্তত মানুষ আমাকে মনে রাখবে।” 

অন্য কোনো গাড়ি না থানায় সেদিন ৯০ মিনিট পরে সেটে পৌঁছেছিলেন আমির খান। এ তথ্য উল্লেখ করে অপূর্ব বলেন, “তিনি (আমির) আমাকে কিছু বলেননি। তিনি রাগও করেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন— ‘ভালো’।” 

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন রন ত র য় আম র খ ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে নিহত খুবি শিক্ষার্থী রিংকীর মরদেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সেশনাল ট্যুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে এদিন সকল ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সেশনাল ট্যুরের সময় রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকী নিহত হন। দুর্ঘটনায় নিহত রুবিনা আফসানা রিংকির মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হচ্ছে ।”

তিনি বলেন, “এই শোকাবহ ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে, সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত আছেন। তিনি নিজে এবং সহকারী পরিচালকসহ কর্মকর্তারা খাগড়াছড়ি রওনা হয়েছেন।”

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে নিহত শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। 

এদিকে, সাজেকে শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সেশনাল ট্যুর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার কাকলি রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ ৪র্থ বর্ষ টার্ম-২ এর সেশনাল ট্যুরে অংশগ্রহণরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল দূরপাল্লার সেশনাল ট্যুর স্থগিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের হাউসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত রুবিনা আফসানা রিংকী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতরা সবাই একই বিভাগের শিক্ষার্থী।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ