দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান জানিয়েছেন, তিনি মা হতে চান, তবে গর্ভে ধারণ করে নয়, সন্তান দত্তক নিয়ে। সম্প্রতি ‘ডিয়ার মা’ সিনেমার প্রচারে অংশ নিতে গিয়ে এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

জয়া জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এলাকা থেকে একটি শিশু দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি ও তার বোন। তবে প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে সেটা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

এই অভিনেত্রীর কথায়, “আমি সন্তান দত্তক নেওয়ায় বিশ্বাসী। চেষ্টাও করেছিলাম। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে একটি শিশু দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অনেক জটিলতা রয়েছে।”

এ সময় জয়া দম্পতিদেরও সন্তান দত্তক নেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, “যাদের একটি সন্তান রয়েছে, তারা চাইলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সন্তান হিসেবে বাইরে থেকে দত্তক নিতে পারেন। এতে সেই শিশুটিও একটি পরিবার পাবে।”

জয়ার নতুন সিনেমা ‘ডিয়ার মা’তে তুলে ধরা হয়েছে দত্তক সন্তান ও মায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন। সিনেমার ট্রেলার মুক্তির পর প্রশংসা কুড়িয়েছে, এমনকি অমিতাভ বচ্চনও ট্রেলারটি শেয়ার করে শুভকামনা জানিয়েছেন।

‘ডিয়ার মা’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে ১৮ জুলাই। সিনেমার দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া ও চন্দন রায় সান্যাল। সিনেমাটিতে আরও আছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, মালয়ালম অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত এ সিনেমায় প্রথমবার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
 

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ