হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
Published: 5th, July 2025 GMT
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা–পুলিশকে অবরুদ্ধ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ নূরনবী কাজলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার পূর্ব বিছনদই (ঘন্টিবাজার) গ্রাম থেকে শাহ নূরনবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে এই মামলায় মাহফুজার রহমান (বিপ্লব) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শাহ নূরনবীর (৪০) বাড়ি উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকায়। আর মাহফুজারের বাড়ি একই উপজেলার পূর্ব সিন্দুর্না গ্রামে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুরের সময় পাশের হাতীবান্ধা থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা যাতে পাটগ্রামে উদ্ধার করতে যেতে না পারেন, সে জন্য তাঁদের অবরুদ্ধ করা হয়।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মামলা করে হাতীবান্ধা থানা-পুলিশ। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে পাটগ্রাম থানার পুলিশকে উদ্ধারে বের হয় হাতীবান্ধা থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ নূরনবী কাজল, মো.
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হ ন রনব অবর দ ধ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’