টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের রেকর্ডটি ২১ বছর ধরে দখলে রেখেছেন ব্রায়ন লারা। ২০০৪ সালে অ্যান্টিগায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ইতিহাস গড়া অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংসটি।

তবে তার সেই রেকর্ডটি এখন হুমকির মুখে। দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মুল্ডার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশন শেষ করেছেন ৩৬৭ রানে অপরাজিত থেকে। আর ৩৩ রান করলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন লারার রেকর্ড। একটি রান বেশি করলে ভেঙেও দিতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তির রেকর্ডটি।

নিয়মিত অধিনায়ক কেশভ মহারাজ ইনজুরিতে পড়ায় আর্মব্যান্ড ওঠে উইয়ান মুল্ডারের বাহুতে। আর এই আর্মব্যান্ড পরে যেন বদলে গেলেন মুল্ডার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম দিনেই তিনি তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। অপরাজিত ছিলেন ২৬৪ রানে।

আরো পড়ুন:

ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন অধিনায়ক মুল্ডার

টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন কেশব মহারাজ

আজ সোমবার (০৭ জুলাই) দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। ২৯৭ বলে ৩৮টি চার ও ৩ ছক্কায় স্পর্শ করেন ৩০০। দ্বিতীয় কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তিনি। আর অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে দ্বিতীয় কোনো ক্রিকেটার হিসেবে।

এরপর ৩২৪ বলে ৪৮টি চার ও ৩ ছক্কায় তিনি পৌঁছান ৩৫০ রানে। আর ৩৩৪ বলে ৪৯টি চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬৭ রান নিয়ে যান মধ্যাহ্ন বিরতিতে।

তার ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬২৬ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র র কর ড প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ