সিরাজগঞ্জে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
Published: 9th, July 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সিরাজগঞ্জে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে এই জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এমন স্মৃতিস্তম্ভ বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই নির্মিত হবে। আশা করছি, আগামী ৫ আগস্ট এই স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।”
আরো পড়ুন:
জুলাই স্মরণে শহীদ জুনায়েদ চত্বর ও শহীদ আনাস সড়ক উদ্বোধন
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রংপুরে সাব কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, “জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের স্মরণে সিরাজগঞ্জে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হচ্ছে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্যই এটি নির্মিত হচ্ছে। আগস্টের ৫ তারিখে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলার নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছাত্র-জনতা ও পুলিশসহ নিহত হন ২৯ জন।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ই স ম ত স তম ভ স র জগঞ জ আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক