ফরিদা পারভীনকে দেখতে গেলেন সংস্কৃতি সচিব
Published: 9th, July 2025 GMT
লালনসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন কয়েক দিন ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার দুপুরে এ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান।
এসময় সংস্কৃতি সচিবের সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী এবং শিল্পীকল্যাণ সমিতির সভাপতি শাওয়াল খান।
ফরিদা পারভীনের অবস্থা গতকালের চেয়ে আজ একটু ভালো। তিনি সচেতন আছেন এবং চোখ খুলে তাকাতে পারছেন। সকালে ছেলের সঙ্গে কিছুটা কথাও বলেছেন বেল জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ফরিদা পারভীনের স্বামী বিশিষ্ট বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম জানান, আজ মেডিকেল বোর্ড গঠনের কথা রয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। বিদেশে নিতে হলে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। সংস্কৃতি সচিব তাকে আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশের গর্ব লালনসংগীত সাধক ফরিদা পারভীনের ব্যাপারে সরকার যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান করবেন।
সংস্কৃতি সচিব বলেন, ‘গত ৫০ বছর ধরে ক্রমাগত সাধনার মাধ্যমে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতকে দেশে বিদেশে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তার সুচিকিৎসার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান করা হবে।’
এদিকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.                
      
				
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম