ওয়ালটন ডিজি-টেককে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে ব্র্য
Published: 11th, July 2025 GMT
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন দিতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এ সহযোগিতার লক্ষ্য হলো— ওয়ালটনের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এবং আর্থিক কার্যক্রম আরো সহজ ও সুবিধাজনক করা।
এ চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক ওয়ালটনকে কাস্টমাইজড ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশন দেবে। এর ফলে ওয়ালটন ব্র্যাক ব্যাংকের কর্পোরেট ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ‘কর্পনেট’ ব্যবহার করে সরাসরি লেনদেন করতে পারবে। এটি ‘কর্পনেট’ মেকার মডিউলের মাধ্যমে ম্যানুয়াল ইনপুটের প্রয়োজনীয়তা দূর করবে, যা মানুষের দ্বারা সংঘটিত ভুল-ত্রুটি হ্রাস করে নিরাপদ ও রিয়েল-টাইম ডেটা ট্রান্সফার নিশ্চিত করবে।
ওয়ালটন রিয়েল-টাইমে অ্যাকাউন্টের অবস্থা পর্ববেক্ষণ করতে পারবে, যা প্রতিষ্ঠানটির দ্রুত আর্থিক সিদ্ধান্ত, অটোমেটেড রিকনসিলিয়েশন এবং ট্রানজ্যাকশন প্রসেসিং থেকে পণ্য সরবরাহ পর্যন্ত উন্নত পরিচালনগত দক্ষতা নিশ্চিত করবে।
সম্প্রতি ওয়ালটনের কর্পোরেট অফিসে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ কে এম ফয়সাল হালিম এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো.
এ চুক্তি কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক চাহিদা পূরণে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ফাইন্যান্সিয়াল সল্যুশন দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।