মনের মানুষ খুঁজে নেওয়ার জন্য প্রযুক্তি নির্ভর এই দুনিয়ায় অনেকেই ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। সেখানে বড় বড় তারকাদের নামও খুঁজে পাওয়া যায়। 

বলিউডের লারা দত্ত থেকে টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর—‘ডেটিং অ্যাপ’-এ নাম ছিলো। কিন্তু  পরে জানা যায় সে সব প্রোফাইল ভুয়া ছিলো। এ বার যুক্ত হলো অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহরায়ের নামও। সম্প্রতি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “আমার নামে ভুয়া প্রোফাইল খোলা হয়েছে একটি ডেটিং অ্যাপে।” 

এতে কিছুটা আতঙ্কিত অভিনেত্রী। তার আশঙ্কা, ওই প্রোফাইল থেকে হয়তো কারও সঙ্গে কথা বলাও হয়েছে। যদি সেই ব্যক্তি ভেবে বসেন, অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে কথা বলছেন, সেটাই চিন্তার কারণ। জানাচ্ছেন নায়িকা। 

আরো পড়ুন:

আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুঞ্জনে যা বললেন তার পুত্র

স্ত্রীকে কেন ‘নিষ্ঠুর’ বললেন রাজকুমার?

তাই অভিনেত্রী লেখেন, “কোনো দিনই আমার ডেটিং অ্যাপে কোনো প্রোফাইল ছিল না। যদিও এই ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে অনেকেই তাদের মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন। আমি এই মাধ্যমের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু এ সবে আমার কোনো আগ্রহ নেই। তাই যদি কেউ আমার নামে কোনো প্রোফাইলের (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির) সঙ্গে কথা বলে থাকেন তাহলে তা একেবারে ভুয়া।” 

সবাইকে সাবধান করতেই এই পোস্ট করেন নায়িকা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, বর্তমানে অভিনেত্রী থাইল্যান্ডে ঘুরছেন। সেখান থেকে নানা ধরনের ছবি পোস্ট করছেন। তিনি সেদেশে রয়েছেন বন্ধু অদৃজা রায়ের সঙ্গে। কিছু দিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন কয়েকমাস হয়ে গেল নিরামিষ খাবারই খাচ্ছেন তিনি। 

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘কাউকে অনুসরণ করে মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়েছি, এমনটা নয়। কোনো আধ্যাত্মিক কারণও নেই। আমার সত্যিই আর ইচ্ছা করে না এ সব খাবার খেতে। চার মাসের বেশি হয়ে গেল খাচ্ছি না। ছোটবেলা থেকে কোনো দিনই পাঁঠার মাংস খেতে ভালবাসি না। মাছও খুব খেতাম না।”

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ