ফেনীতে নেমে গেছে বন্যার পানি, আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন মানুষ
Published: 13th, July 2025 GMT
ফেনীর অধিকাংশ এলাকা থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন বেশির ভাগ মানুষ। পানি নামার সঙ্গে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে বন্যার ক্ষত। বন্যার কারণে ১০ জুলাই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তবে আজ রোববার আবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার কারণে জেলার ৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৬৬ জন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৪৫ জন গতকাল শনিবার দুপুরের আগেই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়েন। এরপর রাতে আরও শতাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন। বন্যায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কিছু মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনীর বেশির ভাগ এলাকায় ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে কিছু নিচু এলাকায় পানি জমে রয়েছে। মূলত পানি সরার মতো ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে এসব জলজট তৈরি হয়েছে। পাঁচ উপজেলায় কিছু গ্রামীণ সড়ক এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এর বাইরে খাল-বিলে এখনো বন্যার পানি রয়েছে।
জেলার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২ হাজার ৩৫০টির বেশি মাছের ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা। প্রাণিসম্পদ খাতে ৩ উপজেলায় ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১২টি স্থানে ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বন্যার পানি কমলেও ক্ষয়ক্ষতির কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বসবাসের উপযোগী করতে ৮-১০ দিন সময় লাগবে। পরশুরাম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বাউর পাথর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ সাইফুল বলেন, তিনি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের বেহাল অবস্থা। টিনশেডের ঘরটির ভেতরে থাকা সব মালপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ঘর সংস্কার করার মতো প্রয়োজনীয় টাকাও তাঁর কাছে নেই। ঘরে কোমরপানি উঠেছিল বলে জানান সাইফুল ইসলাম।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কমুয়া-দক্ষিণ তারালিয়া সড়ক। আজ সকালে তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন য র প ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী