টাঙ্গুয়ার হাওরে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাওরের প্রবেশদ্বার খ্যাত কোরজোন এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোটের প্রবেশ সীমিতকরণে বাঁশের বেড়া ও লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্র ও শনিবার তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন এই এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশকালে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ক বিভিন্ন লেখাসহ সাইনবোর্ড স্থানে স্থানে টানিয়ে দেওয়া হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার নির্দেশে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম এমন উদ্যোগ নেন। দু’দিনব্যপী এ নির্মাণকাজের সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মোস্তফা মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, সাংবাদিক আহাম্মদ কবীর ও স্থানীয় লোকজন।

টাঙ্গুয়ার হাওরে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের সচেতন মহল।

এর আগে গত ২৩ জুন টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশ এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। হাওরের বাইরে হাউসবোট রেখে ছোট হাতে বাওয়া নৌকায় হাওরে ঘুরে বেড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, হাওরপাড়ের সচেতন মহলের দীর্ঘদিনের দাবি পর্যটকবাহী হাউসবোট যেন হাওরের কোরজোন (সংরক্ষিত) এরিয়ার প্রবেশ করতে না পারে। সেজন্য হাওরের সীমানা নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু কোনো বাধা না থাকায় অনেক হাউসবোট ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এখন বাঁশের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করায় কাজ হবে বলে আশা করা যায়।

এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাউসবোট যেন হাওরের কোরজোন এরিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে তাই বাঁশের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ট ঙ গ য় র হ ওর র প রব শ হ উসব ট হ ওর র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ