2025-07-29@08:10:32 GMT
إجمالي نتائج البحث: 17

«হ উসব ট»:

    সম্পদ ও সৌন্দর্যে অনন্য সুনামগঞ্জের নয়নাভিরাম টাঙ্গুয়ার হাওর ‘সুরক্ষিত ব্যবস্থাপনার অভাবে আজ অভিভাবকহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। আদালত আরও মনে করেন, সুন্দরবনের পর জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ জলাভূমি হিসেবে রামসার সাইট ঘোষিত এই হাওরকে ‘সবাই মিলে যেমন ইচ্ছা, তেমন ধ্বংস করছে।’টাঙ্গুয়ার হাওর–সম্পর্কিত এক আদেশে সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে হাওরে হাউসবোট চলাচলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব আছে কি না, পর্যটনের অবস্থা, কেন হাওরে গাছ, মাছ ও পাখি কমছে, হাওরে কোনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কি না, এসব বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে তাহিরপুর থানা–পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, বিশেষ করে সম্প্রতি সুনামগঞ্জের দুটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত এ–সংক্রান্ত সংবাদের প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ করে মোহাম্মদ আলমগীর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) এই আদেশ দেন।...
    নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী ১২টি হাউসবোটের মালিককে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের স্পেশাল অফিসার, মেরিন সেফটি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) থান্দার কামরুজ্জামান আজ রোববার দিনভর হাওরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।ভ্রাম্যমাণ আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পর্যটকবাহী হাউসবোট নীলজলকে ১৫ হাজার, মেঘদূতকে ১৫ হাজার, স্বপ্নকে ১৫ হাজার, হাওরের সুলতানকে ৩০ হাজার, মায়াবতীকে ২৫ হাজার, নীলাঞ্জনাকে ৩০ হাজার, ডুবসাঁতারকে ২০ হাজার, জমিদারকে ১৫ হাজার, জলঘুড্ডিকে ১৫ হাজার, জলছবিকে ১৫ হাজার, হাওর ক্রুজকে ১৫ হাজার, বেগ বেঞ্জার হাউসবোটকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা থান্দার কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নৌযানগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরে যেসব হাউসবোটকে জরিমানা করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো নিবন্ধন ছিল না। তিনি বলেন, অনেক বিষয় যাচাই...
    টাঙ্গুয়ার হাওরে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাওরের প্রবেশদ্বার খ্যাত কোরজোন এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোটের প্রবেশ সীমিতকরণে বাঁশের বেড়া ও লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্র ও শনিবার তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন এই এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশকালে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ক বিভিন্ন লেখাসহ সাইনবোর্ড স্থানে স্থানে টানিয়ে দেওয়া হয়। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার নির্দেশে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম এমন উদ্যোগ নেন। দু’দিনব্যপী এ নির্মাণকাজের সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মোস্তফা মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, সাংবাদিক আহাম্মদ কবীর ও স্থানীয় লোকজন। টাঙ্গুয়ার হাওরে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের সচেতন মহল। এর আগে গত ২৩ জুন টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশ...
    সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় (রৌয়া বিল) হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। গত রোববার রাতে জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্বরত) মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সই করা এ-সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সুনামগঞ্জ হাউসবোট অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য ‘অবশ্য পালনীয়’ ১৩টি নির্দেশনা জারি করে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রৌয়া বিলের ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় হাউসবোটের যাতায়াত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনে জারি করা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। অন্যথায় কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর উদ্দেশ্য হাওর এলাকার প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি...
    সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, হাওরে আর হাউসবোট যেতে পারবে না। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করেছে জেলা প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের ভ্রমণে কোনো বাধা নেই। তবে এড়িয়ে চলতে হবে কিছু এলাকা।এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্বরত) মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের কোনো বাধা নেই। তবে ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় হাউসবোট আপাতত যেতে পারবে না। এ ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ জন্য আমরা কঠোর নজরদারি রাখব।’আরও পড়ুনটাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা৮ ঘণ্টা আগেওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় হাউসবোট যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির...
    সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য ‘অবশ্য পালনীয়’ ১২টি নির্দেশনা জারির এক দিন পর হাওরের ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।রোববার রাতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্বরত) মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকা প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি রোধকল্পে হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোটের যাতায়াত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে আগে জারি করা নির্দেশনা অবশ্যই পালনের অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় কঠোরই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পর্যটকদের নিয়ে হাউসবোটগুলো প্রথমে হাওরের ওয়াচ...
    সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি রোধকল্পে পর্যটকবাহী হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার (২২ জুন) রাতে জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্বরত) মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এ আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি রোধকল্পে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও আপপাশের এলাকায় পর্যটকবাহী হাউস বোটসমূহের গমনাগমন পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হলো। একই সাথে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যাবতীয় কার্যকলাপ থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ভ্রমণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন হতে বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগের...
    বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকে বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়। এতে টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।এর আগে প্রথম আলোতে গত বৃহস্পতিবার ‘অস্তিত্ব–সংকটে টাঙ্গুয়ার হাওর: শূন্য হচ্ছে প্রকৃতির ভান্ডার’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা হয়।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকা, অন্যতম রামসার সাইট। সেখানে অবাধে পাখি উড়ে বেড়ায়, মাছেরা নির্বিঘ্নে সাঁতার কাটে। বর্তমানে অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত ও অব্যবস্থিত পর্যটন ব্যবসার ফলে এই চিত্র উধাও হতে চলেছে। হাওরটিতে প্রায় ২০০ হাউসবোটে কয়েক হাজার পর্যটক সময়ে-অসময়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন, রাত যাপন করছেন। তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা পলিথিন, প্লাস্টিক পণ্য, বোতল ও মনুষ্যবর্জ্য পানি ও মাটিতে...
    ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’— জীবনানন্দ দাশের এই পঙ্‌ক্তির অর্থ যেন নতুন করে জন্ম নেয়, যখন আপনি হাওরের বুক চিরে এগিয়ে চলেন, আর কুয়াশা ঢাকা পাহাড়ের রেখা আপনাকে নিয়ে যায় এক অলৌকিক বাস্তবতায়। যান্ত্রিক শহরের ক্লান্তিকর ছায়া থেকে মুক্তি পেতে আমরা পাঁচ বন্ধু এক সন্ধ্যায় হুট করেই ঠিক করলাম– এবার একটু ভিন্ন কিছু হোক। ঢাকার ধুলো পড়া স্বপ্ন ফেলে আমরা ছুটে চললাম সুনামগঞ্জের দিকে। গন্তব্য টাঙ্গুয়ার হাওর। রাত সাড়ে ১২টা। বাসের জানালায় কেবল আঁধার, মাঝেমধ্যে হেডলাইটের ছায়ায় উঁকি দিয়ে যায় পিচঢালা পথের রেখা। গন্তব্য যতই কাছে আসে, পথ ততই রূপকথায় বদলে যেতে থাকে। দুই পাশে বিস্তৃত জলরাশির মাঝ দিয়ে স্নিগ্ধ এক পথ ধরে চলছি আমরা। সকালবেলা তাহিরপুর ঘাটে এসে পৌঁছালাম। হালকা নাশতার পর যখন...
    ভেসে আসা কান ফাটানো হিন্দি গানের শব্দ, জনাকীর্ণ ওয়াচ টাওয়ার—এসব টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশে খুবই অস্বাভাবিক। এখন আপনি টাঙ্গুয়ার হাওরে কোনো জলজ পাখি দেখবেন না। পানকৌড়ি, কানি বক নেই। নেই মৌনি মাছরাঙা। শকুন, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, সারস, কাক, শঙ্খচিল, পাতি কুট ইত্যাদি নামের পাখিগুলো একসময় টাঙ্গুয়ার হাওরে যে দেখা যেত, তা মানুষ ভুলে গেছে। সারা বছরের অধিবাসী সাধারণ পাখিগুলোও দেখা যায় না আর। করচের বনের পোকারাও মনে হয় শঙ্কিত হয়ে পালিয়েছে।সামান্য কিছু জীববৈচিত্র্য হয়তো অনেক সংগ্রামে এই অঞ্চলে টিকে আছে পর্যটন নামের পরিবেশবিধ্বংসী বোমার সঙ্গে লড়াই করে। এই জীববৈচিত্র্যও একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে, যদি না কোনো ত্রাতা এসে আশা বা স্বপ্ন দেখান। অথচ এই অবারিত জলরাশি, মেঘালয়ের কোলে প্রকৃতির জলের সংসার, যেখানে চাইলেই জলের সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন, নৌকার...
    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বরিশাল। অঞ্চলটি কেবল শস্যশ্যামল ভূমির জন্য পরিচিত নয়, এটি দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী নদীমাতৃক এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম।পদ্মা, মেঘনা, কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, সন্ধ্যা, সুগন্ধার মতো অসংখ্য নদ-নদী আর বিস্তীর্ণ সবুজে ঘেরা বরিশাল অঞ্চল পর্যটনশিল্পের জন্য এক অপার সম্ভাবনাময় ভূমি। যোগাযোগব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে এখন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজেই এই অঞ্চলে পৌঁছানো যায়।আজ থেকে ২০ বছর আগেও যেখানে বারবার যানবাহন পরিবর্তন করে নৌকায় চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হতো, এখন সেখানে ফেরির বদলে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন সেতু তৈরি হওয়ায় একই স্থান থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে যাত্রা করা সম্ভব হচ্ছে। এই পরিবর্তনই বরিশালকে পর্যটন মানচিত্রে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে।ভারতের দক্ষিণ রাজ্য কেরালা একসময় ছিল কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত বড় বড় নৌকার রাজ্য। ধান-চাল গুদামজাত করে রাখা হতো এসব নৌকার ভেতরে। আধুনিকায়ন, যোগাযোগব্যবস্থার...
    টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা হাউসবোটের ধাক্কায় বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে হাওরপারের পাঁচটি গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুরে জয়পুর গ্রামের সামনে পাটলাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে উপজেলার ছিলানী তাহিরপুর, জয়পুর, ইসলামপুর নতুন হাটি, গোলাবাড়ি ও জয়পুর নতুন হাটি।  ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল হালিম বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে পর্যটক নিয়ে আসা নীল কমল নামে একটি হাউসবোট আড়াইটার দিকে বিদ্যুতের পিলারে ধাক্কা দেয়। এ সময় তার ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রামসহ পাঁচটি গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর গ্রামবাসী নীল কমল নামের ওই হাউসবোটটি আটকে রাখে। সেখানে এমনিতেই বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা হলে দু-তিন দিন পর বিদ্যুতের লোকজন এসে সমাধান করে দেয়। সরকারি ছুটি থাকায় এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন। নীল কমল...
    টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোটে যেসব সেবা ও সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়, সেগুলো না থাকাসহ পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটকদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ–সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পর্যটকবাহী হাউসবোটে সেবা গ্রহণে বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। হাউসবোটগুলো বিভিন্ন পর্যটন স্পটের বুকিং গ্রহণ করে; কিন্তু যাত্রীদের প্রতিশ্রুত সেবা দেয় না এবং যান্ত্রিক ত্রুটির নাম করে নির্ধারিত পর্যটন স্পটে নিয়ে যায় না। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে চুক্তি লঙ্ঘন করছেন মর্মে প্রতারণার তথ্যও রয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লাস ট্রাভেল পরিচালিত ‘হাওরডিঙ্গি’ হাউসবোট পর্যটকদের বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুত সেবা দেয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, হাওরডিঙ্গি সময়মতো যাত্রা শুরু এবং নির্ধারিত আনুষঙ্গিক সেবা যেমন বিদ্যুৎ, আবাসন,...
    টাঙ্গুয়ার হাওর সৌন্দর্যে অনন্য এক জলাভূমি। পর্যটকদের কাছে অতিপ্রিয়। ভরা বর্ষায় সেই রূপ উপচে পড়ে। হাওরের স্বচ্ছ জলে জলকেলি, রাতে জল-জোছনার মায়াবী খেলায় তনু–মন দুটোই জুড়িয়ে যায়। শেষ বিকেলে উত্তরের সবুজ মেঘালয় পাহাড়, আকাশে থাকা মেঘের ছায়া অন্য রকম এক মায়ায় বিলিয়ে দেয়, মুগ্ধতা ছড়ায় চারপাশে।হাওর, পাহাড়, নদী ও লেকের অপার সৌন্দর্য একসঙ্গে ধরা দেয় সুনামগঞ্জে। টাঙ্গুয়ার হাওর ও আশপাশের এলাকা ঘুরে তাই মুগ্ধতা নিয়ে ফেরেন পর্যটকেরা। ঈদের লম্বা ছুটি এবার। তাই টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের ঢল নামবে। টাঙ্গুয়ার হাওরে এলে পর্যটকেরা বাড়তি হিসেবে জাদুকাটা নদী, বারিক টিলা, শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি লেক), শিমুলবাগান ও লাকমাছড়া ঘুরে যান। পুরো এলাকা কাছাকাছি, ছবির মতো সুন্দর।হাওর পর্যটনে গত পাঁচ বছরে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে হাউসবোট। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ টাঙ্গুয়ার হাওরে নিবন্ধিত প্রায় এক শ...
    আকাশ মেঘলা, কখনো নামে হালকা বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি ছিটকে এসে লাগে গায়ে। এমন সময়ে কাপ্তাই হ্রদের মাঝখানে আপনি—হ্রদের জলরাশি আর দুই পাশের পাহাড়। এমন অভিজ্ঞতা নিতে ঈদের ছুটিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের হাউসবোটে ।হাউস বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে থাকা ১৫টি হাউসবোটের মধ্যে এবারের ঈদ উপলক্ষে ১২টি সচল রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ হাউসবোট আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। ৮ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘিরে বুকিং নেওয়া হয়েছে।গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হাউসবোটের আগাম বুকিং শুরু হয়। ৪ জুন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। যেভাবে আগাম বুকিং চলছে, তাতে ১-২ দিনের মধ্যে শতভাগ বোট ভাড়া হয়ে যাবে বলে ধারণা মালিকদের।জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাউসবোটকাপ্তাই হ্রদে হাউসবোট ব্যবসা শুরু হয় ২০১৯...
    হ্রদ ও পাহাড়ে ঘেরা পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। প্রতি ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এবার ঈদুল আজহায় লম্বা ছুটি থাকায় পর্যটকের ভিড় বাড়বে বলে আশা হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট মালিকদের। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে শহরের হোটেল-মোটেলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ বুক হয়ে গেছে। এদিকে ঈদের ছুটিতে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ছুটবেন হাজারো পর্যটক। ছুটি শুরুর আগেই শত শত ভ্রমণপিপাসু বুকিং করে রেখেছেন পর্যটকবাহী নৌযান। জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরের বিলাসবহুল ৯০টি বোটসহ দেশীয় বোটগুলোও ইতোমধ্যে বুক হয়ে গেছে। বোট পরিচালনায় থাকা সবাই ব্যস্ত পর্যটক বরণে। হাউসবোট ও দেশীয় বোট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক পর্যটক টাঙ্গুয়ায় আসবেন– এমন আশা থেকে বোটগুলো নতুন রং, পর্দা, বিছানার চাদরসহ নানা কাজ করে রীতিমতো উৎসবমুখর...
    তাহিরপুরে পর্যটকবাহী ‘রাহাবার’ নামে এক হাউসবোটে আকস্মিক আগুন লেগে পুড়ে গেছে। হাউসবোটে থাকা ১২ পর্যটক অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পর্যটন স্পট শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী) সংলগ্ন পুটিয়া গ্রামের সামনে নদীতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে ‘রাহাবার’ হাউসবোটের স্টাফ মো. ইব্রাহিম খলিল সমকালকে জানান, শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুর সদর ঘাট থেকে ১২ জন পর্যটক হাউসবোটযোগে প্রথমে টাঙ্গুয়া হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে আসেন। এখান থেকে বিকেলে নিলাদ্রী লেকে এসে পুটিয়া গ্রামের সামনের নদীতে হাউসবোট নোঙর করেন। এসময় পর্যটকরা যার যার কেবিনের ভেতরে ছিলেন আর তারা রাতের খাবারের ব্যবস্থা করছিলেন। হাউসবোটে জেনেরেটর চালানো ছিল। কেবিনের একজন তার মোবাইল ফোন চার্জের জন্য মাল্টিপ্লাগে লাগানো মাত্রই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। প্রথমে নৌকার স্টাফরা চেষ্টা করছিলেন আগুন নেভাতে, কিন্তু...
۱