মাহরিন চৌধুরীর সমাধিতে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধাঞ্জলি
Published: 23rd, July 2025 GMT
ঢাকার উত্তরায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাহসী শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে জেলার জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ায় সমাধিস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এসময় তিনি মাহরিন চৌধুরীর আত্মত্যাগে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী পুলিশ সুপার জনাব এ.
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন সাহসী শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী। পরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকা/সিথুন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়
দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন রম্য মোহন নামে এক নারী। এ অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চর্চা চলছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই দাপুটে অভিনেতা।
বিজয় সেতুপতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি বলেন, “যারা আমাকে চেনেন, এমনকি অল্প হলেও চিনেন, তারা বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মনে করবেন। আমি জানি আমি কে। এই ধরণের জঘন্য অভিযোগ আমাকে বিরক্ত করে না। আমার পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিরক্ত। আমি তাদের বলি, ‘এটা বাদ দাও।’ এটা পরিষ্কার এই নারী, প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে; কয়েক মিনিটের খ্যাতি অর্জন করেছে, তাকে এটি পেতে দিন।”
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজয় সেতুপতি বলেন, “সাইবার ক্রাইমে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। গত সাত বছর ধরে নানা গুঞ্জন সহ্য করেছি। এর কোনোটি আমাকে প্রভাবিত করেনি এবং কখনো করবেও না।”
আরো পড়ুন:
বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর
আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা
রম্য মোহন নামে এক নারী তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাতে তিনি লেখেন, “তেলেগু সিনেমায় নেশা-কাস্টিং কাউচের সংস্কৃতি মজার কোনো ব্যাপার নয়। আমি একটি মেয়েকে চিনি, যে এই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন বিজয় সেতুপতির হাতে ‘মানসিক ও শারীরিক শোষণের’ শিকার হয়েছেন। সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন।”
রম্যর অভিযোগ, “বিজয় সেতুপতি কলিউডের (তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) তথাকথিত ‘গ্ল্যামার–সংস্কৃতি’র আড়ালে অশুভ এক বলয়ের অংশ, যেখানে ‘অডিশন’ কিংবা ‘পেশাগত সুযোগ’–এর নামে নারীদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। তার ভাষায়, ‘সেতুপতির মতো শিল্পীরা শিল্পের স্বাভাবিক নিয়মের ছদ্মবেশে মেয়েদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধার’ বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিতেন।” যদিও পরবর্তীতে এ পোস্ট মুছে ফেলেন এই নারী।
ঢাকা/শান্ত