ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় কুয়েতে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল
Published: 23rd, July 2025 GMT
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে বাংলাদেশে পালিত রাষ্ট্রীয় শোকের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। এই দিনে দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসও যথাযথ মর্যাদায় এই শোক পালন করে।
আরো পড়ুন:
বিমান বিধ্বস্ত: দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় মিলাদ ও দোয়া
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এআই দিয়ে ভিডিও তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: বাংলাফ্যাক্ট
দোয়া মাহফিলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মিনিস্টার শ্রম আবুল হোসেন, কাউন্সিলর ইকবাল আখতার ও তৃতীয় সচিব আবদুল লতিফ ফকিরসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ ও যুগ্ম সম্পাদক হেবজু মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ঘটন হতদ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।