বাংলাদেশ ব্যাংক হঠাৎ কেন এমন নির্দেশনা দিয়েছিল, তা দেখার বিষয়
Published: 24th, July 2025 GMT
পোশাক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করার বিষয়টি ভালো উদ্যোগ। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। পোশাকের নির্দেশনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হচ্ছিল।
অফিস–আদালত একটি আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডের জায়গা। অফিসের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কী ধরনের মানানসই পোশাক পরবেন, সে বিষয়ে কোনো কোনো জায়গায় মোটাদাগে কিছু নির্দেশনা থাকে। পৃথিবীর বহু দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে পোশাক–পরিচ্ছদ নিয়ে লিখিত কিছু থাকে না। তবে সেখানে আনুষ্ঠানিক মানানসই পোশাক পরেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। অনেক সময় ব্যক্তি খাতে বা করপোরেট খাতে পোশাক বিষয়ে নির্দেশনা থাকে।
কিন্তু বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই অনেক অফিসে লিখিত কিছু থাকে না। কিন্তু অলিখিত সুপারিশ ও কর্তৃপক্ষ থেকে প্রত্যাশা থাকে। তবে যাতে ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব না হয়, সেটিও খেয়াল রাখতে হয়। এটা তো সবাই জানেন যে জিনস, গ্যাবার্ডিন ও স্যান্ডেল—এসব পরে অফিস করা যায় না। বাংলাদেশ ব্যাংকে হয়তো এত দিন এ বিষয়ে লিখিত কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাই এখন পোশাক–পরিচ্ছদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
হয়তো বাংলাদেশ ব্যাংক তার কর্মপরিবেশে কিছুটা আনুষ্ঠানিক ভাব আনার জন্য এমন নির্দেশনা দিয়েছিল।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক হঠাৎ কেন এমন নির্দেশনা দিয়েছিল, তা দেখার বিষয়। এই সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা এমনিতেই মানানসই পোশাক পরেন। এ ব্যাপারে উচ্চপর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করা হয়েছিল কি না, তা–ও আমরা জানি না। তবে আমার ধারণা, এটি হয়তো শুধু সুপারিশ ছিল, নির্দেশনা নয়। আর এ ধরনের বিষয় কর্তৃপক্ষ থেকে সুপারিশ বা প্রত্যাশা পর্যায়ে থাকলেই ভালো।
ফাহমিদা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’