ছবি থেকে সরাসরি ভিডিও তৈরির সুযোগ দিতে ইউটিউব শর্টসে নতুন এআই টুল যুক্ত করছে গুগল। ‘ইমেজ টু ভিডিও’ নামের এআই টুলটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই স্থিরচিত্রকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারীদের জন্য এআই টুলটি উন্মুক্ত করা হবে।

গুগল জানিয়েছে, ভিডিও জেনারেশন মডেল ‘ভিও টু’–এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ইমেজ টু ভিডিও এআই টুলটি। চলতি মাসের শুরুতে জেমিনি অ্যাপে চালু হওয়া উন্নত সংস্করণ ‘ভি থ্রি’–এর তুলনায় এই মডেল কিছুটা সীমিত ক্ষমতার। টুলটির মাধ্যমে ইউটিউব শর্টস ব্যবহারকারীরা নিজের পছন্দমতো ভিডিও ক্লিপের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে টুলটিতে টেক্সট প্রম্পট লিখে নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। আগে থেকে তৈরি কিছু প্রম্পট নির্বাচন করে ছবি থেকে ভিডিও তৈরি করতে হবে।

গুগল ফটোজেও ব্যবহার করা যাবে ইমেজ টু ভিডিও টুল। যুক্ত করা হবে ‘রিমিক্স’ সুবিধাও। ফলে স্থির ছবি থেকে সর্বোচ্চ ৬ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ তৈরির পাশাপাশি ছবিকে কমিক স্টাইল, স্কেচ বা থ্রিডি অ্যানিমেশনে রূপান্তর করা যাবে। এআই টুল দুটি গুগল ফটোজের নতুন ‘ক্রিয়েট’ ট্যাবে পাওয়া যাবে।

গুগলের তথ্যমতে, ইমেজ টু ভিডিও ও রিমিক্স দুটি সুবিধা এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তাই কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল অপ্রত্যাশিত হতে পারে। ব্যবহারকারীরা চাইলে তৈরিকৃত ছবি ও ভিডিওতে ‘লাইক’ বা ‘ডিজলাইক’ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। এই মতামত ভবিষ্যতে এআই টুলগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করবে। এআই ব্যবহার করে তৈরি প্রতিটি ছবি ও ভিডিওতে যুক্ত করা হবে ‘সিনথআইডি’ নামের অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক ত কর এআই ট ল ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ