প্রাক্তন প্রেমিকার প্রশংসায় দেব, জবাবে যা বললেন শুভশ্রী
Published: 24th, July 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি শুভশ্রী গাঙ্গুলি ও দেব। তাদের পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন এই যুগল। কিন্তু শেষটা ভালো হয়নি এই জুটির। দুজনের পথ দুটো আলাদা হয়ে গেছে।
দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর একই মঞ্চে দেখা যায় শুভশ্রী-দেবকে। অতিথি হিসেবে শুভশ্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন দেব। এ মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, দেব যখন শুভশ্রীকে পুরস্কারটি তুলে দেন, তখন শুভশ্রী চোখ তুলে দেবের দিকে তাকায়নি।
প্রেম ভাঙার পর ‘ধূমকেতু’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন দেব-শুভশ্রী। ২০১৫ সালে সিনেমাটির শুটিং করেন তারা। তারপর কেটে গেছে এক দশক। কিন্তু মুক্তির আলো পায়নি সিনেমাটি। অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে ১৪ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। কিন্তু সিনেমাটির প্রচারে কি দেব-শুভশ্রীকে একসঙ্গে দেখা যাবে? তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
আরো পড়ুন:
দেবের দিকে একবারও তাকাননি শুভশ্রী, তারপর.
অজয় ও আমার মাথা খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়: কাজল
কয়েক দিন আগে প্রাক্তন প্রেমিকা শুভশ্রীকে নিয়ে মন্তব্য করেন দেব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে দেব বলেন, “আমার ওর সঙ্গে কী কথা থাকতে পারে? পাশপাশি দাঁড়ালে কী বলব জানি না। আমি ওর কাছ থেকে কী-ই বা নেব, যা আমার কাছে নেই। আমি ওকে কী-ই বা দেব যা ওর কাছে নেই। একটা মেয়ে হয়ে সংসার-সন্তান ও ক্যারিয়ার যেভাবে সামাল দিচ্ছে, তা তো প্রশংসনীয়। এটা খুব সহজ কাজ নয়।”
দেব কথা বলার পর কয়েক দিন পর প্রশ্নের মুখে পড়েন শুভশ্রী। দেবের মন্তব্যের পর পাল্টা জবাব দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। শুভশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, “ও আমাকে নিয়ে কিছু বলেছে বলে আমাকেও বলতে হবে এমনটা নয়। তবে এত বছর পর সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে, এটাই বড় বিষয়। যদিও আমি দেবকে ধন্যবাদ জানাব আমার এই পরিশ্রমটা ওর চোখে পড়েছে, প্রশংসা করেছে। আমিও বলছি, দেবও খুব ভালো কাজ করছে।”
দেবের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শুভশ্রী। ২০২০ সালে বিয়ে করেন তারা। এ সংসারে তাদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, অভিনেত্রী রুক্মিণীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন দেব।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ