স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত: ‘সবকিছু কেন আমাদের ছাত্রদের বুকের ওপর দিয়ে যায়’
Published: 24th, July 2025 GMT
মঙ্গলবার সকালে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মেট্রোরেলে চড়ে বসলে এক বিষণ্নতার ট্রেনে ঢুকে গেলাম যেন। যাত্রীদের মধ্যে কোনো কোলাহল নেই। সবার চেহারা শোকে বিমর্ষ। কী এক চাপা নিরবতা। হুট করে কারও মুঠোফোনের ফেসবুকে স্ক্রলের ভিডিওতে আগের দিন স্কুলের ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার বর্ণনা ভেসে এল। মেট্রোরেলের পরিবেশ যেন আরও গুমোট হয়ে গেল।
কেন যেন আজকে আরও বেশি সময় লাগল উত্তরায় পৌঁছাতে। শেষ স্টেশনে নেমে সামান্য হাঁটলেই স্কুলটির মোড়। সেখানে দেখা গেল বিক্ষোভ চলছে। সবার গায়ে হয় স্কুল ইউনিফর্ম বা গলায় আইডি কার্ড। এর বাইরে কিছু তরুণকে দেখলাম প্ল্যাকার্ড হাতে, যাদের শিক্ষার্থী বা অভিভাবক—কোনোটাই মনে হলো না বেশভূষায়, বাইরের বা স্থানীয় লোকজনও হতে পারে। শিক্ষার্থীদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা: উই ওয়ান্ট জাস্টিস, প্রে ফর বাংলাদেশ, জুলাই ২.
সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে স্কুলের দিকে গেল। তাদের সঙ্গে স্কুলের দিকে হাঁটার সময় কয়েকজন গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করল: মিডিয়া কেন সত্য প্রকাশ করছে না, ওরা কেন লাশের সঠিক সংখ্যা বলছে না।
কিন্তু লাশের সংখ্যা যে গোনা এখনো শেষ হয়নি আর মিডিয়া চাইলেই নিজ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করতে পারে না; পুলিশ, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস—অনেক জায়গা থেকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হয়, সেসব যুক্তি তাদের না দেখানোই উচিত মনে হলো। তাদের ব্যাখ্যা করতে গেলাম না, এরকম দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এত দ্রুত হতাহতের সংখ্যা সুস্পষ্টভাবে বলা বা প্রকাশ করা আদৌ সম্ভব কী না? শোক ও ক্ষোভই প্রকাশ করুক তারা।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়া স্কুলভবনের সামনে মানুষের ভীড়। মঙ্গলবার, মাইলস্টোন স্কুল, উত্তরাউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনকে নিয়ে মন্তব্য, বন্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন নেটওয়ার্ক এবিসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বাতিলের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে শোর হোস্ট জিমি কিমেলের বক্তব্য, যেখানে তিনি কনজারভেটিভ প্রভাবশালী চার্লি কার্কের হত্যার পটভূমিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। খবর ভ্যারাইটির
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেট নাইট শোগুলোর একটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার এই চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসেছে, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করে নানা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন।
‘জিমি কিমেল লাইভ!’–এর সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি আমেরিকার জন্য দারুণ খবর।’
চার্লি কার্ক ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র। গত সপ্তাহে ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গুলিতে নিহত হন। ২২ বছর বয়সী টাইলার রবার্টসন এই হত্যার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।