কক্সবাজারের ট্রেনে দেড় বছরেও পণ্য পরিবহন হচ্ছে না
Published: 25th, July 2025 GMT
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হয়েছে দেড় বছর আগে। প্রকল্পটি নেওয়ার সপক্ষে বলা হয়েছিল, এই রেলপথ চালু হলে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলবর্তী কক্সবাজার জেলার মৎস্য, বনজ ও কৃষিজ পণ্য কম খরচে সারা দেশে সরবরাহ করা যাবে। তাতে রেলওয়ের বছরে ৫০ কোটি টাকা আয় হবে।
নতুন এই রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে দুটি করে চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন কক্সবাজার আসা-যাওয়া করে। অর্থাৎ পণ্যবাহী ট্রেন চালু হয়নি। এমনকি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতেও পণ্যবাহী কোনো লাগেজ ভ্যান যুক্ত করা হয়নি; যে কারণে বিপুল ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথ নির্মাণের সুফল মিলছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা শুরু থেকেই কক্সবাজার থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন। সেটি হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পণ্য বহনকারী গাড়ির চাপ কমবে। বর্তমানে এই সরু মহাসড়কে দিনে গড়ে পাঁচ হাজারের মতো গাড়ি চলাচল করে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পণ্যের বড় অংশ যদি ট্রেনে পরিবহন করা হয়, তাহলে সড়কে গাড়ির চাপ কমে দুর্ঘটনার হার কমতে পারে।
এদিকে পণ্য পরিবহন ট্রেন বা কোচ সংযুক্ত করা নিয়ে রেলওয়ের প্রকৌশল ও বাণিজ্যিক বিভাগের দুই ধরনের মত রয়েছে। রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজারের স্থানীয় কিংবা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কারও কাছ থেকেই তাঁরা এখনো এই পথে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের কোনো চাহিদা পাননি। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর জন্য পর্যাপ্ত ইঞ্জিনও নেই। আবার রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের মতে, চাহিদা না থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। উদ্যোগ নেওয়া হলে ঠিকই সাড়া পাওয়া যাবে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। কেননা বর্তমানে ইঞ্জিন-সংকট প্রকট; যে কারণে নিয়মিত পণ্যবাহী ট্রেন চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর কক্সবাজারের কারও কাছ থেকে কখনো কোনো চাহিদা বা আগ্রহ পাওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তাঁরা যদি চাহিদা দেন, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্পটির পরিচালক মোহাম্মদ সবুক্তগীনও প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার থেকে পণ্য পরিবহনে চাহিদা নেই, বিষয়টি এ রকম নয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে আন্তনগর ট্রেনে দুটি লাগেজ ভ্যান যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। এ নিয়ে বাণিজ্যিক বিভাগের সঙ্গে আলাপ করা হবে। রেলওয়ের নিয়মিত মাসিক সভাতেও বিষয়টি তোলা হবে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে সাড়া পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উদ্দেশ্য আর বাস্তবতায় বিরাট ফারাকচট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ নির্মাণে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে রেলওয়ের বছরে ৪৪২ কোটি টাকা আয় হবে। সারা দেশ থেকে কক্সবাজারে যত পর্যটক আসেন, তার অন্তত ৫০ শতাংশ পাবে রেল। প্রথম বছরেই যাত্রী পরিবহনে ৩৯২ কোটি টাকা ও পণ্য পরিবহনে ৫০ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। কিন্তু বক্তব্য আর বাস্তবে দুই স্তর ফারাক দেখা গেছে। প্রথম এক বছরে যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে আয় হয়েছে মাত্র ৮০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
লবণ পরিবহনে সড়কে ঝুঁকিপাহাড়, সমুদ্র ও সীমান্ত থাকায় (মিয়ানমারের সঙ্গে) কক্সবাজারের বাণিজ্যিক গুরুত্ব বেশি। বিশেষ করে সমুদ্রের কারণে এখানে মৎস্য ও লবণশিল্পের বিকাশ ঘটেছে। দেশে লবণের মোট চাহিদার সিংহভাগই যায় কক্সবাজার অঞ্চল থেকে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) মতে, চলতি বছরে দেশে লবণের বার্ষিক চাহিদা হলো ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে কক্সবাজারে অঞ্চলেই উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ২২ লাখ মেট্রিক টন।
কক্সবাজার থেকে ট্রাকে করে লবণ সারা দেশে নেওয়া হয়। এ কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কেননা লবণবাহী পরিবহন থেকে পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। যেমন এ বছরের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ৪৮ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়ায় তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৬ জনের, আহত হয়েছেন ২০ জন। তখন পুলিশ ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও লবণপানির কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই কক্সবাজারে উৎপাদিত লবণ ট্রেনে সরবরাহ করা হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে।
মৎস্য ও কৃষিপণ্য পরিবহনের সম্ভাবনাকক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই জেলায় বার্ষিক মৎস্য উৎপাদনের পরিমাণ ২ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ইলিশ প্রায় ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। এই জেলায় মাছের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন। বাকি ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন মাছ চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। এ ছাড়া বছরে কয়েক শ কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদিত হয়। এর বড় অংশই মাছের মতো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আকারে বড় হওয়ায় সারা দেশে কদর রয়েছে কক্সবাজারের সুপারির। বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হয় এখানকার সুপারি। মৌসুমে সপ্তাহে গড়ে ২২৫ ট্রাক সুপারি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার উখিয়া, টেকনাফ, রামু, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৮ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে সুপারিবাগান রয়েছে। সুপারি উৎপাদিত হয় ১২ হাজার ৯৬৭ মেট্রিক টনের মতো। প্রতি কেজি শুকনা সুপারির দাম ৩০০ টাকা ধরলে বছরে উৎপাদিত হয় ৩৯০ কোটি টাকার সুপারি।
শীতকালে কক্সবাজারে উৎপাদিত সবজি ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়িতে করে চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। ট্রেনে সবজি পরিবহনের ব্যবস্থা করা হলে এখানকার কৃষকেরা উপকৃত হবেন।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, প্রথম থেকেই তাঁরা কক্সবাজারে যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনো তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, যদি পণ্যবাহী ট্রেন কিংবা চালু থাকা যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে আলাদা কোচ বরাদ্দ দেওয়া হতো, তাহলে কক্সবাজার থেকে পণ্য যেমন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহজে পাঠানো যেত, তেমনি বাইরে থেকেও এখানে পণ্য আনা সহজ হতো। তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত পণ্যবাহী ট্রেন বা চালু ট্রেনে কোচ যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ জ র ম ট র ক টন কর মকর ত য ক ত কর র লওয় র উৎপ দ ত দ র ঘটন প রথম মৎস য ব যবস র লওয
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫