নির্বাচনের আগেই অবৈধ ও লুট হওয়া সকল অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 26th, July 2025 GMT
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গণঅভ্যুত্থানে লুট হওয়া সকল অস্ত্রসহ সারা দেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এখনো আমরা সব অস্ত্র উদ্ধার করতে পারি নাই। আমরা এগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। বাকি অস্ত্র নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
আর নির্বাচনে বড় স্টেকহোল্ডার হচ্ছে রাজনৈতিক দল। তাদেরকে এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখতে হবে। নারায়ণগঞ্জে যথেষ্ট লজিস্টিক সাপোর্ট আছে। তারপরও যদি কোনো লজিস্টিক সাপোর্টের প্রয়োজন হয় আমরা আমরা এর ব্যবস্থা করে দিবো।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে র্যাব-১১ সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এসময় তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় সত্য প্রকাশ করলে কখনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেটা সত্যিই শুধুমাত্র ওইটাই প্রকাশ করা হয়। এতে করে জনগণও সচেতন হবে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল থাকবেই যারা সবসময় প্রবলেম সৃষ্টি করবে।
আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনো বিভেদ নেই। আমাদের কাছ আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা। আর রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব জনগণের কাছে ভোট আদায় করা। বর্তমানে মিডিয়া এতো ভালো অবস্থানে আছে আপনারা সব জায়গার খবর সহজেই করতে পারছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনেক মামলার অগ্রগতি শুরু হয়ে গেছে। তবে সমস্যা হয়েছে এসব মামলায় অগনিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে। সেজন্য তদন্তকাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। নিরাপরাধ ব্যক্তিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই লক্ষ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
এসময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইসরাত জাহানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স বর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
“শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে আজ বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। স্বেচ্ছায় সড়কে শৃংখলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো-ইজিবাইক চালকদের সংঘবদ্ধ হিংস্র হামলা প্রমান করে এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
কিছু কিছু অটো চালক তাদের গাড়ির সিটের নিচে করে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসেছে। হামলার পরও প্রকাশ্যে একাধিক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অটো চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও পথচারীদের তথ্যমতে, অনেক অটো চালককে মনে হয়েছে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী, নেশাখোরের মতো। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিল।
অটো চালকদের কেউ কেউ থামানোর চেষ্টা করলেও আরেকটি পক্ষের হিংস্রতা দেখে মনে হচ্ছিল তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে এই ঘটনায়।
হামলার পর উল্টো অটো চালকরা নিজেদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দুই ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড ব্লক করে রাখে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলো, সড়ক বন্ধ করা হলো, রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ডানপন্থী-বামপন্থী রাজনৈতিকরা। নিশ্চুপ অতি বিপ্লবীরাও।
মজার বিষয় হলো-স্বেচ্ছাশ্রমে রৌদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন হয়তো কারো কারো কাছে পছন্দ হচ্ছিলো না। কারণ, চাষাড়ায় অটো ঢুকতে দেয়াটাই ছিল অটো চালকদের দাবি। সেখান পর্যন্ত গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ও আয় বেশী হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই চাঁদাবাজ ও অটো বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কথিত সাংবাদিক ও মাস্তানদের সমন্বয়ে একটি চক্র। এই চক্রের কারণে কখনোই অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা যায়নি। হয়তো যাবেও না।
শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
লেখক -
বিল্লাল হোসেন রবিন
সহসভাপতি
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব