এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা নিয়ে ভিন্নমত সৌরভ গাঙ্গুলীর
Published: 28th, July 2025 GMT
গত এপ্রিলে ভারতের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। এমনকি ভবিষ্যতে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত ম্যাচ না খেলতে চাইলে সেটিকেও সমর্থনের কথা জানান সাবেক বিসিসিআই-প্রধান।
কিন্তু সেই মন্তব্যের তিন মাস পেরোনোর আগেই নিজের অবস্থান বদলালেন ‘প্রিন্স অব কলকাতা’। সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান একই গ্রুপে ঠাঁই পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন সৌরভ। তাঁর নতুন ভাষ্য হচ্ছে, খেলাকে খেলার মতোই চলতে দেওয়া উচিত। অন্য কোনো কারণে খেলা বন্ধ করা উচিত নয়।
এর আগে ২৬ জুলাই (শনিবার) নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে প্রথমে এশিয়া কাপ শুরু ও শেষের দিনক্ষণ জানান এসিসির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় আরেক পোস্টে বিস্তারিত সূচি প্রকাশ করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, ফাইনাল ২৮ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সব সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত, বললেন সৌরভ২৬ এপ্রিল ২০২৫দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট আটটি দল অংশ নেবে এবারের এশিয়া কাপে—‘এ’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে অন্য দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। সূচি অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হওয়ার কথা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানের।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের শীতল সম্পর্কের কারণে এক দশকের বেশি সময় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে না ভারত–পাকিস্তান, মুখোমুখি হয় শুধু এসিসি ও আইসিসির টুর্নামেন্টে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ