ঝিনাইদহে তুচ্ছ কারণে ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত
Published: 28th, July 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ভাত খাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে বড় ভাইয়ের ধারালো ছুরির আঘাতে ছোট ভাই জামাল হোসেন নিহত হয়েছে। আজ সোমাবার (২৮ জুলাই) সকালে উপজেলার পলিয়ানপুর গ্রামে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
নিহত জামাল হোসেন (২১) মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের পলিয়ানপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হযরত আলী জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাত খাওয়া নিয়ে বড় ভাই উজ্জল হোসেনের সঙ্গে জামাল হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে উজ্জল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে জামালের বুকে আঘাত করেন। এতে জামাল গুরুতর আহত হয় এবং পরে মারা যায়।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, দর্জি নিহত
গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ‘শুটার’ মান্নান নিহত
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উজ্জল হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ছোট ভাই জামালের বুকে আঘাত করেন। জামালকে উদ্ধার করে নিকটস্থ ভৈরব বাজারের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু ঘটে।
ওসি আরো জানান, বড় ভাই উজ্জল ঝালমুড়ি, পেয়ারা ও আমড়া বিক্রেতা। তার হাতে সব সময় ধারালো ছুরি থাকতো। সেই ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে গেছেন।
লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’