শুটিংয়ের ক্যাম্প বন্ধ নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন আগের কমিটির
Published: 30th, July 2025 GMT
দক্ষিণ এশীয় গেমস (এসএ) সামনে রেখে ১ জুলাই শুরু হওয়া বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের প্রস্তুতি ক্যাম্প বন্ধ হয়ে গেছে ২১ দিন পরই। ফেডারেশনের বর্তমান কর্মকর্তারা যদিও দাবি করেছেন, অর্থাভাব এবং আগের কমিটি রাইফেল–পিস্তল বুঝিয়ে না দেওয়াতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্প। আগের কমিটি বলছে ভিন্ন কথা।
ফেডারেশনের আগের কমিটির উপমহাসচিব মুশতাক ওয়াইজ আজ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, অর্থাভাবে ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনের প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখের মতো এফডিআর করা আছে ব্র্যাক ব্যাংকে। এটা ইন্টারেস্টসহ এখন আরও বেশি হবে, কম হবে না। এর বাইরে চলতি হিসাবে আছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এসব যদি বাদও ধরি ফেডারেশন কিন্তু এনএসসি থেকে গেমসের প্রস্তুতির জন্য ২২ লাখ টাকার মতো পেয়েছে। তাহলে টাকার সমস্যা তো হওয়ার কথা নয়!’ এত টাকা থাকার পরও কেন আর্থিক সংকটে ক্যাম্প বন্ধ হবে, প্রশ্ন ওয়াইজের। বর্তমান কমিটিকে এসব অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশকে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে শুটিং। ছবিটি ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে আবদুল্লাহ হেল বাকি রুপা জয়ের পর.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য ম প বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল