সাধারণ মানুষেরাই যে দেশের মালিক, সে কথা আমরা ভুলে যাই: সিনিয়র সচিব
Published: 31st, July 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, ‘‘সেবা নিতে সরকারি দপ্তরে আসা সাধারণ মানুষেরাই যে দেশের মালিক, সে কথা আমরা ভুলে যাই।’’  
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ের এবং খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও পিরোজপুর জেলার সব দপ্তরপ্রধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালন’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
আরো পড়ুন:
সংসদের উচ্চকক্ষ ১০০ আসনের, মনোনয়ন পিআর পদ্ধতিতে
‘ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেশকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার’
এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘সেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনে জনসাধারণের কাছে যেতে হবে। কীভাবে সহজে সেবা দেওয়া যায় তা খুঁজে বের করতে হবে। সদয় আচরণের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সুবিচার পৌঁছে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।’’
নাসিমুল গনি বলেন, ‘‘সরকারের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ হয় সরকারি দপ্তরগুলোর মাধ্যমে। সরকারি কর্মকর্তাদের এটাকে জনসাধারণের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অনুধাবন করতে হবে এবং সে অনুসারে কাজ করতে হবে। জনগণের টাকায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন হয়। সুতরাং জনগণকে তার প্রাপ্যসেবা বা তাদের হক থেকে বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই।’’
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’