Risingbd:
2025-11-03@23:31:25 GMT

‘৫ লাখ টাকা তোর কাছে কিছুই না’

Published: 1st, August 2025 GMT

‘৫ লাখ টাকা তোর কাছে কিছুই না’

টাঙ্গাইলে আজাহারুল ইসলাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা চিঠি দিয়েছে। আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

চিঠিতে চাঁদা দাবি করে লেখা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করে যাচ্ছিস। এতে তোর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তোর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছি, যা আমাদের বিবেচনায় খুবই সামান্য এবং তোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব। পাঁচ লাখ টাকা তোর কাছে কিছুই না।

হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, চিঠি পাওয়ার পর তুই যদি বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করোস বা আইনি প্রক্রিয়ায় যাস, তাহলে তোকে মেরে ফেলতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবো না। মনে রাখবি, প্রশাসন তোর সাথে সব সময় থাকবে না। তোর সঠিক বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্তে তুইসহ তোর পরিবার সুরক্ষিত থাকবি।

আরো পড়ুন:

কানসাটে গ্রেপ্তার নেত্রকোণার আ.

লীগ নেতা

নাটোরে ডিজে পার্টিতে যাওয়ার পথে আটক ৫৭

চিঠিতে আরো লেখা হয়েছে, আগামী রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় পাঁচ লাখ টাকা একটি শপিং ব্যাগে করে শহরের কাগমারী এলাকায় মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে একটি গাছে ফরহাদ ইকবালের ছবি লাগানো আছে সেই গাছের নিচে রেখে যাবি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে মাছ ব্যবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামের এক কর্মচারীর কাছে অচেনা এক ব্যক্তি চিঠিটি দিয়ে যান। শুক্রবার সকালে ওই কর্মচারী চিঠিটি আজাহারুল ইসলামকে দেন।

এ বিষয়ে সন্তোষ বাজার কমিটির আহ্বায়ক মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘‘আজাহারুল ভাই সৎ মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করছেন। হঠাৎ আজ জানলাম, তার কাছে একটি চিঠি এসেছে। যেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।’’

আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার কর্মচারী নিশা পড়ালেখা জানেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে আছেন। গত রাতে অচেনা এক ব্যক্তি চিঠিটি দিয়ে গেছে। তিনি সেই চিঠি আজ আমার কাছে দিয়েছেন। চিঠি দেওয়ার সময় নিশা বলেন, একটি ক্লাব থেকে আপনাকে চিঠি দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছি। লিখিত অভিযোগ দিব।’’

টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে। শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’’

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আজ হ র ল ইসল ম ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ