টাঙ্গাইলে আজাহারুল ইসলাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা চিঠি দিয়েছে। আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চিঠিতে চাঁদা দাবি করে লেখা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করে যাচ্ছিস। এতে তোর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তোর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছি, যা আমাদের বিবেচনায় খুবই সামান্য এবং তোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব। পাঁচ লাখ টাকা তোর কাছে কিছুই না।
হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, চিঠি পাওয়ার পর তুই যদি বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করোস বা আইনি প্রক্রিয়ায় যাস, তাহলে তোকে মেরে ফেলতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবো না। মনে রাখবি, প্রশাসন তোর সাথে সব সময় থাকবে না। তোর সঠিক বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্তে তুইসহ তোর পরিবার সুরক্ষিত থাকবি।
আরো পড়ুন:
কানসাটে গ্রেপ্তার নেত্রকোণার আ.
নাটোরে ডিজে পার্টিতে যাওয়ার পথে আটক ৫৭
চিঠিতে আরো লেখা হয়েছে, আগামী রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় পাঁচ লাখ টাকা একটি শপিং ব্যাগে করে শহরের কাগমারী এলাকায় মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে একটি গাছে ফরহাদ ইকবালের ছবি লাগানো আছে সেই গাছের নিচে রেখে যাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে মাছ ব্যবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামের এক কর্মচারীর কাছে অচেনা এক ব্যক্তি চিঠিটি দিয়ে যান। শুক্রবার সকালে ওই কর্মচারী চিঠিটি আজাহারুল ইসলামকে দেন।
এ বিষয়ে সন্তোষ বাজার কমিটির আহ্বায়ক মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘‘আজাহারুল ভাই সৎ মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করছেন। হঠাৎ আজ জানলাম, তার কাছে একটি চিঠি এসেছে। যেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।’’
আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার কর্মচারী নিশা পড়ালেখা জানেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে আছেন। গত রাতে অচেনা এক ব্যক্তি চিঠিটি দিয়ে গেছে। তিনি সেই চিঠি আজ আমার কাছে দিয়েছেন। চিঠি দেওয়ার সময় নিশা বলেন, একটি ক্লাব থেকে আপনাকে চিঠি দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছি। লিখিত অভিযোগ দিব।’’
টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে। শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’’
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আজ হ র ল ইসল ম ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’
নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন
যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।
নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি