খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা থানার সবুজবাগ এলাকায় বাড়িতে ঢুকে মনোয়ার হোসেন ওরফে টগর (৩২) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ার হোসেন ওই এলাকার জামাল হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় রঙের কাজের ঠিকাদার ছিলেন।

পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে মনোয়ারের বুকের ডান পাশে আঘাত লাগে। এতে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত যুবকের বাবা জামাল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে টগর আমাকে বলে, “বাবা, গেটে কারা যেন এসেছে, দেখে আসো।” আমি দরজা খুলে দেখি তিন যুবক দাঁড়িয়ে। জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, টগর তাদের চেনে। একজন টগরের পাশে বসে, আরেকজন দাঁড়িয়ে ছিল। আমি টগরের স্ত্রীকে ডাকতে যাই। এর মধ্যেই টগরের চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি সে মেঝেতে পড়ে আছে। ঘরে যারা ঢুকেছিল, তারা পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, সে আর নেই।’

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিন যুবক মনোয়ারের ঘরে ঢোকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীরা মনোয়ারের পূর্বপরিচিত। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন য় র

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ