ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আনন্দের মাঝেই হঠাৎ করেই দুঃসংবাদ পেল পাকিস্তান শিবির। জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য বাঁহাতি ব্যাটার ফখর জামান ছিটকে গেছেন চলমান সিরিজ থেকে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি ও আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে আর মাঠে নামা হচ্ছে না তার।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ২৮ ও ২০ রানের ইনিংস খেলা ফখর আহত হন ফিল্ডিংয়ের সময়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ১৯তম ওভারে, হাসান আলীর একটি বল থামাতে গিয়ে বাঁ পাশে টান অনুভব করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে আসা মেডিকেল টিম পরীক্ষা করে তার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট শনাক্ত করে। এরপর আর দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামেননি তিনি।

সোমবার (৪ আগস্ট) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে একাদশে ছিলেন না ফখর। তার জায়গায় সুযোগ পান খুশদিল শাহ, যিনি ৬ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচে ১৩ রানে জয় পায় পাকিস্তান। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় সালমান আলী আগার নেতৃত্বাধীন দলটি।

আরো পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়লেন রুট, ছুঁলেন অনন্য মাইলফলক

শেষটা জিতে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফখর জামান দ্রুত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য আজই দেশে ফিরছেন। লাহোরের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে পিসিবির মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা শুরু হবে। তবে ওয়ানডে সিরিজে তার জায়গায় কে স্কোয়াডে যোগ দেবেন, সেটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৮ আগস্ট ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে যথাক্রমে ১০ ও ১২ আগস্ট একই মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষকদের পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে কৃষি উৎপাদন ও বাজারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কৃষিঋণ শুধু কৃষকদের উৎপাদনই বাড়ায় না, এটি গ্রামীণ উন্নয়ন ও ঋণগ্রহীতাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেরও অন্যতম কার্যকর সমাধান। বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছে, কৃষির হাত ধরেই এগিয়েছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের উন্নতি হতে পারে কৃষির মাধ্যমেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের একটি হোটেলে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) আয়োজিত ‘কৃষি উদ্যোক্তা সমাবেশ ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘কৃষি শুধু কৃষকের জীবিকা নয়, এটি পুরো জাতির খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই কৃষি উদ্যোক্তাদের সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই, প্রকৃত কৃষকের হাতে কৃষিঋণ পৌঁছাক, ব্যাংকিং সেবা সহজ হোক এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষকেরা আরও সুবিধা পান।’

ইউসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলার প্রায় তিন শ কৃষি উদ্যোক্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহীর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, অতিরিক্ত এমডি নাবিল মোস্তাফিজুর রহমান; বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল কুমার প্রামাণিক; জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এম খালেকুজ্জামান; জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা; বিটিভির মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক প্রমুখ।

আহসান এইচ মনসুর সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কৃষকদের পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা ও ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা জরুরি, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহীর বলেন, ‘আমরা দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য কৃষির টেকসই উন্নয়ন ও কৃষি উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বিশ্বাস, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’

ইউসিবির এমডি ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, ‘আমরা শুধু ঋণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছি না। আমরা চাই উদ্যোক্তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল ও আত্মনির্ভরশীল হোক এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক।’

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা জানান, সফল উদ্যোক্তা হতে হলে বাজার বিশ্লেষণ, ব্যবসা পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। এ ছাড়া তাঁরা ব্যাংকের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা এবং আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগগুলো কাজে লাগানোর বিষয়েও হাতে-কলমে নির্দেশনা পেয়েছেন এ প্রশিক্ষণ থেকে। অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই বললেন, এর আগে ইউসিবির সহায়তায় তারা আধুনিক বীজ, সার কিংবা কৃষি যন্ত্রপাতি পেয়েছেন। তবে সরাসরি প্রশিক্ষণ পেয়ে এবার তারা আরও আত্মবিশ্বাসী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভরসার নতুন জানালা’ নামে ইউসিবির একটি অ্যাগ্রো সিএসআর প্রকল্প রয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে ৬৪ জেলায় প্রায় ১৪ হাজার কৃষককে ‘কৃষি উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ’ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের ৫০টি মডেল উপজেলার ৩ হাজার কৃষককে নিবিড় সহায়তা প্রদান করেছে ইউসিবি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ