বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিকে বিভেদ বন্ধের আহ্বান এবি পার্টির
Published: 4th, August 2025 GMT
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) বিভেদ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানে দলের ব্যানারে না হলেও নির্দলীয় অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সমর্থন ও ভূমিকা রেখেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তাদের শত শত নেতা-কর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন এবং হাজার হাজার সমর্থক আহত-পঙ্গু হয়েছেন। কিন্তু এখন কোন দলের অবদান বেশি, তা নিয়ে তারা পরস্পরকে আক্রমণ করে কথা বলছে।’
আজ সোমবার ‘গণ–অভ্যুত্থানের আহ্বান ও ৪ আগস্ট স্মরণে’ পতাকা মিছিল করে এবি পার্টি। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে মিছিলের শুরুতে এ কথা বলেন মজিবুর রহমান।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টজুড়ে এবি পার্টি প্রকাশ্য দলীয় ব্যানারে রাজপথে সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, কারানির্যাতন ভোগ করেছে। আমাদের অংশগ্রহণ ছিল দলগত, তবে আমরা মনে করি, আমাদের অবদান অতি ক্ষুদ্র ও নগণ্য। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা নির্দলীয় পরিচয়ে সবচাইতে বেশি ত্যাগী অবদান রেখেছেন এই অভ্যুত্থানে। কিন্তু এখন তাঁরা দলীয়ভাবে ক্রেডিট নিতে গিয়ে বিবাদে জড়াচ্ছেন, যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।’
এনসিপির নেতৃত্বে এখন যাঁরা আছেন, তাঁদের গণ–অভ্যুত্থানের মূল নেতা উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অবদানের বিতর্কে জড়িয়ে কেউ কাউকে আপসকামী এবং সাবেক ছাত্রলীগ বলে সম্বোধন করা উচিত নয়। দলীয়ভাবে এনসিপি কোনো অবদান দাবি করতে পারে না। কারণ, এনসিপির জন্ম হয়েছে অভ্যুত্থানের পর।
দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র যদি সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও আলোচনার মাধ্যমে প্রণয়ন হতো, তাহলে এটি একটি ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হতো। কিন্তু তা না করে একতরফাভাবে এটি উপস্থাপন করাটা শোভনীয় হচ্ছে না।
এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও নাসরিন সুলতানা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা
দিনাজপুরের বিরামপুরে টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় সাজেদুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের জোলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তাঁর চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর তাঁরা পলাতক।
নিহত ব্যক্তির পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, গতকাল বিকেলে রায়হান কবির সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। সাজেদুল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা সাজেদুলের গচ্ছিত ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। তিনি এ ঘটনায় রায়হান কবিরকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার পর রায়হান তাঁর চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে আনেন। পরে দুজনে মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে তাঁরা সাজেদুলের বুকে ও অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় বাধা দিতে গেলে সাজেদুলের মাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবার তাঁকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা অবস্থার অবনতি দেখে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথে ফুলবাড়ি এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’