যৌন হয়রানির অভিযোগে বেরোবি শিক্ষক রশীদুল বরখাস্ত
Published: 4th, August 2025 GMT
যৌন হয়রানির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১১৩তম সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর নির্দেশক্রমে রবিবার (৩ আগস্ট) রেজিস্ট্রার ড.
পরিসংখ্যান বিভাগ সাবেক শিক্ষার্থী শ্রী রাতুল বাসার বলেন, “আমরা সাময়িক বরখাস্ত না, স্থায়ী বরখাস্ত চাই।”
আরো পড়ুন:
বিসিএসে সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্কুলভিত্তিক
এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়ার শিক্ষক পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বেরোবি উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, “আমরা আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সিন্ডিকেটকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ভবিষ্যতেও আমরা করব। এ ব্যাপারে কার্যক্রমে কেউ যুক্ত থাকলে তাদের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত অভ য গ বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে এক কর্মচারী চাকরিচ্যুত
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুই বছর আগে যোগদান করা চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সত্যতা পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৪৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চাকরিচ্যুত কর্মচারী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বুক সর্টার অর্পনা কুমারী। তাঁর চাকরিচ্যুতির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলাম প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, মার্কশিট ও সার্টিফিকেট টেম্পারিং করে অর্পনা চাকরি নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শেষে সত্যতা পেয়ে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০২৩ (সংশোধিত)’-এর ৪ (২) ধারা অনুযায়ী অর্পনাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের ৪৮তম সভায় উপস্থাপন করা হলে, তা বিবেচনায় নিয়ে গত ৩১ মে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্পনা কুমারীর বিরুদ্ধে চাকরিতে যোগদানের সময় নির্ধারিত বিধি ও যোগ্যতা উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিয়োগ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই আদেশ ৪ আগস্ট (আজ সোমবার) থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি অর্পনা কুমারীকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে সরকারি নিরীক্ষা দল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আর্থিক নিরীক্ষায় তাঁর দায়িত্বে থাকা সময়ে কোনো আর্থিক দায়দেনা নিরূপিত হলে, এর দায়ভার তাঁকেই বহন করতে হবে।