কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৫ আগস্টের আনন্দমিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
Published: 5th, August 2025 GMT
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত আনন্দমিছিলে গিয়ে আল আমিন (৪০) নামের বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া আল আমিন উপজেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। তিনি উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের রুকন উদ্দিনের ছেলে। অতিরিক্ত গরমে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকেরা।
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.
পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নূর-এ-আলম খান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নেতার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তিনি ‘স্ট্রোক’ করে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মৃত আল আমিনের বাবা রুকন উদ্দিন বলেন, ‘সুস্থ ছেলে আমার আনন্দের সহিত মিছিলে গেল। কিন্তু কী থেকে কী হয়ে গেল। যা–ই হোক, হায়াত-মউত আল্লাহর কাছে। আমি আমার ছেলের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র আনন দ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন নিধনের জন্য বন বিভাগও দায়ী: উপদেষ্টা
পার্বত্য চট্টগ্রাসহ সারা দেশে বন নিধনের জন্য বন বিভাগও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, ‘‘বন নিধনের জন্য বন বিভাগও কম দায়ী নয়। তবে কেন বন নিধন হয়েছে, সেটা ভাবতে হবে। সেটা থেকে উত্তরণের জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। বনগুলো বাঁচাতে হবে।’’
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাঙামাটিতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘কোন গাছ কোন প্রকৃতির এবং অর্থনৈতিকভাবে যেসব গাছ আছে তা নিয়ে একটি সার্ভে করা দরকার। কোনো গাছের বিকল্প নির্ধারণ না করে নিষিদ্ধ করা ঠিক নয়। শুধু আম, কাঁঠাল নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রাখার জন্য কী কী গাছ লাগানো যায়, তা নির্ধারণ করা উচিত।’’
আরো পড়ুন:
৪ লাখ টাকার অবৈধ কাঠসহ ট্রাক আটক
বনরক্ষীদের ওপর হামলা, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: পরিবেশ সচিব
পরিবেশ বিষয়ে পার্বত্য অঞ্চলের আদিকাল থেকে বসবাসকারীরা অনেক বেশি সচেতন দাবি করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পাহাড়ধস এসব মানুষের বাড়িঘরে হয় না। প্রকৃতিকে যারা চেনেন না, তারাই পাহাড়ধসের শিকার হন।’’
‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে শনিবার সকালে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা। বৃক্ষমেলা উপলক্ষে সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিমনেশিয়ামে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের রাঙামাটি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘‘প্রতিনিয়ত নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে, বন ধ্বংস করা হচ্ছে। অথচ এসব গাছ, বন মানবজাতির জন্য খাবার তৈরি করছে। বিপরীতে আমরা কিছু তৈরি করতে পারি না। ঔষধি গাছগুলো মানুষের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। গাছকে অবহেলা করলে মানবজাতি টিকে থাকতে পারবে না। তাই প্রত্যেকের অন্তত প্রতি বছর তিনটি গাছ লাগানো উচিত। একইসঙ্গে সেইসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণ, যত্নও নেয়া উচিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে গাছ লাগানোর ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার।’’
পরে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি চারা বিক্রি করা হচ্ছে।
ঢাকা/শংকর/বকুল