ইউরোপ ছেড়ে এবার আমেরিকার মাঠে ঝলক দেখাতে প্রস্তুত সন
Published: 5th, August 2025 GMT
দীর্ঘ এক দশক টটেনহ্যাম হটস্পারে কাটিয়ে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সন হিউং-মিন। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সুপারস্টারের পরবর্তী গন্তব্য যে আমেরিকার মেজর লিগ সকার (এমএলএস)। সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ফুটবল মহলে।
সিউলে আয়োজিত এক আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ বছর বয়সী সন আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, টটেনহ্যামের সঙ্গে তার পথচলার অবসান ঘটছে। পরদিনই নিউক্যাসলের বিপক্ষে মাঠে নেমে স্পার্সের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলার ইঙ্গিত দেন তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ছাড়ার সময় সতীর্থ ও প্রতিপক্ষের গার্ড অব অনারে আবেগে ভেসে যান দর্শকরাও।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, সনের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি। ২০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে এই চুক্তি। এখন কেবল অপেক্ষা মেডিকেল পরীক্ষা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আর এ চুক্তি চূড়ান্ত হলে প্রথমবারের মতো লিওনেল মেসির সঙ্গে একই লিগে খেলবেন সন। যদিও দুজন খেলবেন দুই কনফারেন্সে।
আরো পড়ুন:
নেইমারের জোড়া গোলে সান্তোসের জয়
টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন
২০১৫ সালে জার্মানির বায়ার লেভারকুসেন থেকে টটেনহ্যামে যোগ দেন সন। এরপর টানা ১০ বছরে ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন ৪৫৪টি ম্যাচ, করেছেন ১৭৩টি গোল এবং নিজের ঝুলিতে তুলেছেন প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট। চলতি বছরেই ক্লাব অধিনায়ক হিসেবে ইউরোপা লিগে ম্যানইউকে হারিয়ে টটেনহ্যামকে ১৭ বছরের ট্রফিশূন্যতা থেকে মুক্ত করেন।
সনের বিদায় মানে এক যুগের অবসান হলেও, নতুন এই অধ্যায় তাকে ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে মাঠ কাঁপাতে পারেন কিনা, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। ফুটবলপ্রেমীদের চোখ এখন তাই মেজর লিগ সকারের দিকেই।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের উত্তরাখন্ডে আকস্মিক বন্যা, নিহত ৪
ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে মেঘ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, আকস্মিক বন্যায় সড়কের ওপর থাকা মানুষজনসহ সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। ভয় ও আতঙ্কে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াচ্ছে।
ভিডিওতে আতঙ্কিত এক ব্যক্তিকে ‘বাপ রে বাপ’ বলতে শোনা যায়। চোখের সামনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তিনি এমন কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে পাহাড়ি গ্রাম ধরালীতে মেঘ বিস্ফোরণের কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় তীব্র স্রোতের কারণে অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ভেসে গেছে।
গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে ধরালী একটি যাত্রাবিরতি স্থান। সেখানে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং থাকার জায়গা রয়েছে। বন্যায় সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, তীব্র স্রোতের সঙ্গে কাদামাটি ভরা পানি পাহাড় বেয়ে নদীর তীরে থাকা বাড়িঘরের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘উত্তরকাশীর ধরালী এলাকায় বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্য দলগুলো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সবার নিরাপত্তার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।’
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তরাখন্ডের মাতলি এলাকায় অবস্থানরত ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) ১২তম ব্যাটালিয়নের ১৬ সদস্যের একটি দল ধরালী পৌঁছেছে। একই ব্যাটালিয়নের ইউনিটকে দ্রুত ওই এলাকায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীর তীর থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি শিশু ও গবাদিপশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।