বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। টিকিটে স্পষ্টভাবে বিক্রয় মূল্য উল্লেখ এবং শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী এজেন্সির মাধ্যমেই টিকিট বিক্রয় নিশ্চিত করা হবে।”

সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান।

আরো পড়ুন:

‘কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু’ 

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী-স্বজনদের নতুন নির্দেশনা

এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও প্রতারণা রোধে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন জানান, সম্প্রতি ফ্লাইট এক্সপার্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কার্যক্রম সামনে আসার পর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,“টিকিটের মূল্য নির্ধারণ সাধারণত চাহিদা ও সময়ের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছিলেন, যা প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে আরো সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

ব্রিফিংয়ের শুরুতে সচিব নাসরীন জাহান বলেন,“টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার স্বল্পমেয়াদি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নিয়েছে।ইতোমধ্যে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ