টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতাসহ সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সোহাগ মন্ডল, মিন্টু, মোশাররফ, জসিম, আমিনুল, আনোয়ার ও ময়নাল।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে সাবেক পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা  

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমান জানান, গত ১৮ আগস্ট ভোরের দিকে ঘাটাইলের চকপাকুটিয়ার স্বর্ণকার অমল বনিকের বাড়িতে ডাকাতি হয়। অজ্ঞাত ১০-১২ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে অমল বণিকের মা কৃষ্ণা রাণীদ্বয়কে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, রূপার গহনা, পিতলের প্রতিমা ও মোবাইল ফোনসহ ৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। 

ডাকাতির সময় বাঁধা দিলে ডাকাতরা অমলের বাম হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। অমলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেলে ডাকাতরা পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অমল বনিক বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ২৪ আগস্ট রাতে কালিয়াকৈরের সফিপুর থেকে ডাকাত দলের সদস্য মো. সোহাগ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে লুট করা একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেপ্তার আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা মিন্টুকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিন্টুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং স্বর্ণ ও রুপা উদ্ধার করা হয়। 

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল, পাঁচ রতি স্বর্ণ ও ৩৪ ভরি রূপা উদ্ধার হয়েছে।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর স বর ণ আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ