ডাকাতির জন্য বিকেলে থেকে ব্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন যুবক
Published: 28th, August 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর বাজারে অবস্থিত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি চেষ্টার অভিযোগে সহিদুল হক (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে ব্যাংকের ভেতর থেকে ডাকাতির সরঞ্জামসহ তাকে আটক করা হয়। এলাকাবাসীর ধারণো, গতকাল বিকেল থেকে ওই যুবক ব্যাংকে ঢুকে লুকিয়ে ছিলেন।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আশ্রমের ধর্ম গুরু গ্রেপ্তার
শ্যালকদের লাঠির আঘাতে ভগ্নিপতির মৃত্যু
আটক সহিদুল ভজনপুর ইউনিয়নের সারাপিগছ এলাকার শুকুরু মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের নাইট গার্ড রাতের খাবারের জন্য নিচে নামেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ব্যাংকের ভেতরে লাইটের আলো দেখতে ও শব্দ শুনতে পান। সন্দেহ হলে তিনি ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাশাপাশি পুলিশকেও বিষষটি জানান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে ওই যুবককে আটক করা হয়।
এসময় একটি ব্যাগ থেকে ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। ব্যাংকের টাকা রাখার ভল্টে ডাকাতির চেষ্টার চিহ্ন দেখতে পান এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক যুবককে থানায় নিয়ে যায়।
ব্যাংকের গার্ড আনিস বলেন, “রাতে বাইরে থেকে হঠাৎ ব্যাংকের ভেতর লাইট জ্বলে থাকতে দেখতে পাই। শব্দ আসতে থাকে। ব্যাংকের ভেতর একা প্রবেশের সাহস পাচ্ছিলাম না। ব্যাংক ম্যানেজারকে ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ভেতরে যাই। এরপর ওই ডাকাতকে দেখতে পাই।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, আটক যুবক বিকেলে ব্যাংকে এসে লুকিয়ে ছিলেন। রাতে তিনি ডাকাতির চেষ্টা করেন।”
তেঁতুলিয়া মডেল থানার এসআই আসাদ ডাকাতির চেষ্টায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্তসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক অভ য গ ক র ভ তর
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ